ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

ফোনে কথা বলতে বলতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলো উর্মি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেললাইনে ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের সারুটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের খান জাহান আলীর মেয়ে উর্মি আক্তার (১৫)। তিনি স্থানীয় বিবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার উর্মি প্রাইভেট পড়া শেষে রেললাইনের পাশের বাগানে বসে মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ কারও সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় মোবাইলে কথা বলতে বলতে হঠাৎ উর্মি ট্রেন আসলে ঝাঁপ দেয়। তখন তার শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে উর্মি রেললাইনে বসে মোবাইলে কথা বলতে বলতে হঠাৎ রাগান্বিত হয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হয়তো মেয়েটি প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম বলেন, উর্মি বুধবার সকালে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে একই দিন দুপুরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। অভিমান থেকে উর্মি এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য রেলওয়ে পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ফোনে কথা বলতে বলতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলো উর্মি

আপলোড সময় : ০৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেললাইনে ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের সারুটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের খান জাহান আলীর মেয়ে উর্মি আক্তার (১৫)। তিনি স্থানীয় বিবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার উর্মি প্রাইভেট পড়া শেষে রেললাইনের পাশের বাগানে বসে মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ কারও সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় মোবাইলে কথা বলতে বলতে হঠাৎ উর্মি ট্রেন আসলে ঝাঁপ দেয়। তখন তার শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে উর্মি রেললাইনে বসে মোবাইলে কথা বলতে বলতে হঠাৎ রাগান্বিত হয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হয়তো মেয়েটি প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম বলেন, উর্মি বুধবার সকালে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে একই দিন দুপুরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। অভিমান থেকে উর্মি এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য রেলওয়ে পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।