ঢাকা , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

জুঁই হত্যাকারী  ৫ ধর্ষককে  গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়গারফা গ্রামের সাত বছরের শিশু কন্যা জুঁই কে হত্যা করে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। সেই লাশ ১৫ এপ্রিল উদ্ধার করে চাটমোহর থানা পুলিশ। পরে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে চাটমোহর ও বড়াইগ্রামের পাঁচজন কিশোর কে আটক করে বড়ইগ্রাম থানা পুলিশ ও নাটোর জেলা ডিবির একটি দল। ২০শে এপ্রিল রবিবার  চাটমোহর থানা পুলিশের ওসি মনজুরুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাটমোহর, বড়াইগ্রাম থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে পাঁচ কিশোরকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।  গ্রেফতাররা সবার বয়স ১৬-২৫ বছর। রবিবার পাবনা আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গত সোমবার পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের শিশু জুঁই দাদীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে এই পাঁচ কিশোর তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে শুধুমাত্র নিজেদের পৈশাচিক চাহিদা মেটাতে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে রাতভর তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় এসিড জাতীয় কোন দ্রব্য দিয়ে তার মুখমন্ডল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় এ যুবকরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিল। তারা শিক্ষার্থী, দোকানী ও কৃষি কাজ করে।
১৫ এপ্রিল চারদিকে খোঁজা খোঁজির এক পর্যায়ে  সকালে পার্শ্ববর্তী পাবনার চাটমোহরের রামপুর বিলের একটি ভুট্ট ক্ষেতে জুঁইয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। ঐ দিন রাতে জুঁইয়ের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে শনিবার ৫ কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা শিশু জুঁই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আজ পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
প্রেস ব্রিফিং এ চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম জানান, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত এ পুলিশ কাজ করবে।
নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জুঁই হত্যাকারী  ৫ ধর্ষককে  গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ

আপলোড সময় : ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়গারফা গ্রামের সাত বছরের শিশু কন্যা জুঁই কে হত্যা করে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। সেই লাশ ১৫ এপ্রিল উদ্ধার করে চাটমোহর থানা পুলিশ। পরে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে চাটমোহর ও বড়াইগ্রামের পাঁচজন কিশোর কে আটক করে বড়ইগ্রাম থানা পুলিশ ও নাটোর জেলা ডিবির একটি দল। ২০শে এপ্রিল রবিবার  চাটমোহর থানা পুলিশের ওসি মনজুরুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাটমোহর, বড়াইগ্রাম থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে পাঁচ কিশোরকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।  গ্রেফতাররা সবার বয়স ১৬-২৫ বছর। রবিবার পাবনা আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গত সোমবার পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের শিশু জুঁই দাদীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে এই পাঁচ কিশোর তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে শুধুমাত্র নিজেদের পৈশাচিক চাহিদা মেটাতে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে রাতভর তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় এসিড জাতীয় কোন দ্রব্য দিয়ে তার মুখমন্ডল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় এ যুবকরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিল। তারা শিক্ষার্থী, দোকানী ও কৃষি কাজ করে।
১৫ এপ্রিল চারদিকে খোঁজা খোঁজির এক পর্যায়ে  সকালে পার্শ্ববর্তী পাবনার চাটমোহরের রামপুর বিলের একটি ভুট্ট ক্ষেতে জুঁইয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। ঐ দিন রাতে জুঁইয়ের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে শনিবার ৫ কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা শিশু জুঁই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আজ পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
প্রেস ব্রিফিং এ চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম জানান, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত এ পুলিশ কাজ করবে।