ইউটিউব দেখে কমলা চাষে সফলতা পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের প্রবাস ফেরত আলমগীর ভূঁইয়া। উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে দুলালপুরে ২ বিঘা জমিতে চায়না কমলা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। উৎপাদিত এই কমলা চীনসহ অন্য যেকোনো দেশ থেকে আমদানি করা কমলার মতোই সুস্বাদু। জেলার বিভিন্নস্থান থেকে ফরমালিন মুক্ত এ ফলটি নিতে ভিড় জমাচ্ছে আলমগীরের কমলা বাগানে।
দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে মাত্র দুই বিঘা জমি ১৬ বছরের জন্য বর্গা নিয়ে ইউটিউব দেখে চায়না কমলা চাষ শুরু করেন কৃষক আলমগীর ভূঁইয়া। দুই বছর আগে ১৮৪টি চায়না কমলা চারা রোপণের পর সফলতার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন তিনি। গাছ লাগানোর পর ৯০ শতাংশ লোকের নিরুৎসাহ পেলেও হাল ছাড়েননি আলমগীর ভূঁইয়া।
মাত্র চার লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে সাহসিকতার পরিচয়ে আজ সফল কমলা চাষি আলমগীর। তার বাগানে এখন ঝুলছে নজরকাড়া ছোট ছোট হলুদ রঙের চায়না কমলা। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। আশেপাশের এলাকা থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় জমায় আলমগীরের বাগানে। প্রতি কেজি ১৭০ টাকা দরে প্রায় ১০০ কেজিরও বেশি চায়না কমলা বিক্রি করেছেন তিনি।
স্থানীয়রা বলেন, দেশে চায়না কমলা চাষের দিকে নজর দিলে চীন থেকে কমলা ক্রয় করতে হবে না। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চায়না কমলার বাম্পার ফলন হচ্ছে। কৃষি বিভাগ সুদৃষ্টি দিলে কমলা চাষে যেমন আগ্রহ বাড়বে তেমন দেশের চাহিদাও মেটানো সম্ভব হবে।
আলমগীর ভূঁইয়া আরটিভি নিউজকে বলেন, আমি ইউটিউব দেখে ২ বিঘা জমি ১৬ বছরের জন্য বর্গা নিয়ে চায়না কমলা চাষ শুরু করি। এ বছর যে পরিমাণ ফলন এসেছে আশা করছি আগামী বছর আরও অনেক ভালো ফলন আসবে। এতে আমার প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মতো লাভ থাকবে।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহাম্মেদ বলেন, আমরা বিজয়নগরে বেশ কয়েকটি যায়গায় চেষ্টা করেছি। কিন্তু আলমগীর ভূঁইয়া ছাড়া কেউ সফল হতে পারেননি। তিনি একজন সফল এবং সাহসী উদ্যোক্তা।