ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

হাসপাতালে সন্তান রেখে পালাল মা-বাবা

দাম্পত্য জীবনে তিন কন্যাসন্তান। আবার কন্যাসন্তান প্রসব করলে তালাক দেবেন স্বামী। কিন্তু এবারও জন্ম হয়েছে কন্যাসন্তানের। তাই হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে গেলেন মা-বাবা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ওই ঘটনা ঘটে। বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

 

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, প্রসব বেদনা উঠলে আজ সকাল ৭টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী পাপিয়া খাতুনকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন। পরে তাকে ভর্তি করা হয় গাইনি ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পর কন্যাসন্তানকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের বিলকিস বানু নামে এক নারীর কাছে রেখে পালিয়ে যান আলমগীর-পাপিয়া দম্পতি ও পরিবারের সদস্যরা।

 

খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী। পরে নবজাতকটি সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্বাবধানে রাখা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা ওই নবজাতকের নাম দেন ‘পুষ্প’।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, ওই দম্পতির তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। আবারও কন্যাসন্তান হলে স্বামী তালাক দেবে বলে জানায় পাপিয়া। তাই আবারও কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় ওই দম্পতি। আপাতত হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্বাবধানে রয়েছে নবজাতক।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, ওই দম্পতি হাসপাতালে যে নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন তা যাচাই করা হয়েছে। তারা ভুল তথ্য দিয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও ছবি দেখে ওই নারী ও তার স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, নবজাতক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে রয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হাসপাতালে সন্তান রেখে পালাল মা-বাবা

আপলোড সময় : ০৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

দাম্পত্য জীবনে তিন কন্যাসন্তান। আবার কন্যাসন্তান প্রসব করলে তালাক দেবেন স্বামী। কিন্তু এবারও জন্ম হয়েছে কন্যাসন্তানের। তাই হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে গেলেন মা-বাবা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ওই ঘটনা ঘটে। বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

 

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, প্রসব বেদনা উঠলে আজ সকাল ৭টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী পাপিয়া খাতুনকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন। পরে তাকে ভর্তি করা হয় গাইনি ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পর কন্যাসন্তানকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের বিলকিস বানু নামে এক নারীর কাছে রেখে পালিয়ে যান আলমগীর-পাপিয়া দম্পতি ও পরিবারের সদস্যরা।

 

খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী। পরে নবজাতকটি সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্বাবধানে রাখা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা ওই নবজাতকের নাম দেন ‘পুষ্প’।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, ওই দম্পতির তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। আবারও কন্যাসন্তান হলে স্বামী তালাক দেবে বলে জানায় পাপিয়া। তাই আবারও কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় ওই দম্পতি। আপাতত হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্বাবধানে রয়েছে নবজাতক।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, ওই দম্পতি হাসপাতালে যে নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন তা যাচাই করা হয়েছে। তারা ভুল তথ্য দিয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও ছবি দেখে ওই নারী ও তার স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, নবজাতক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে রয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।