ঢাকা , শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

হারিয়ে যেতে বসেছে নেত্রকোণার হস্তশিল্প

ছবি সংগৃহীত

হারিয়ে যেতে বসেছে নেত্রকোণার ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প। একসময় শত শত পরিবার জড়িত থাকলেও বর্তমানে হস্তশিল্পের কাজ করছেন মাত্র ৭০টি পরিবার। আর্থিক সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবকে দায়ী করছেন কারিগররা। অন্যদিকে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করার কথা জানায়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন।

নেত্রকোণার সদর উপজেলার বাজে আমলি গ্রামকে একসময় সবাই চিনতো হস্তশিল্পের গ্রাম হিসেবে। প্রতিটা ঘরে ঘরে চলতো বাহারি নকশায় বাঁশ-বেত দিয়ে নানান পণ্য তৈরির কাজ। তবে বর্তমানে অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী এ হস্তশিল্পের পেশা।

এ পেশার সঙ্গে জড়িতরা জানান, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া এবং পুঁজি সংকটে এ পেশা ধরে রাখতে পারছেন না তারা। একসময় শত শত পরিবার হস্তশিল্পের কাজ করলেও এখন কাজ করছে মাত্র ৭০টি পরিবার। বাঁশের তৈরি কুলা, ঝুড়ি, খাঁচা, খুঁচি, সোফা, বিয়ের কুঞ্জসহ নানান তৈজসপত্র তৈরি করলেও ভালো দাম পান না বলেও জানান কারিগররা।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন জানায়, এ শিল্পে নিয়োজিতদের নিয়ে ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে, খুব দ্রুতই তা সম্পন্ন হবে। এরপর আগ্রহীদের মধ্যে চালু করা হবে স্বল্প সুদে ঋণ কার্যক্রম।

আর্থিক অনুদান পেলে নতুন করে পুরোনো সুদিন ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হারিয়ে যেতে বসেছে নেত্রকোণার হস্তশিল্প

আপলোড সময় : ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

হারিয়ে যেতে বসেছে নেত্রকোণার ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প। একসময় শত শত পরিবার জড়িত থাকলেও বর্তমানে হস্তশিল্পের কাজ করছেন মাত্র ৭০টি পরিবার। আর্থিক সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবকে দায়ী করছেন কারিগররা। অন্যদিকে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করার কথা জানায়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন।

নেত্রকোণার সদর উপজেলার বাজে আমলি গ্রামকে একসময় সবাই চিনতো হস্তশিল্পের গ্রাম হিসেবে। প্রতিটা ঘরে ঘরে চলতো বাহারি নকশায় বাঁশ-বেত দিয়ে নানান পণ্য তৈরির কাজ। তবে বর্তমানে অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী এ হস্তশিল্পের পেশা।

এ পেশার সঙ্গে জড়িতরা জানান, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া এবং পুঁজি সংকটে এ পেশা ধরে রাখতে পারছেন না তারা। একসময় শত শত পরিবার হস্তশিল্পের কাজ করলেও এখন কাজ করছে মাত্র ৭০টি পরিবার। বাঁশের তৈরি কুলা, ঝুড়ি, খাঁচা, খুঁচি, সোফা, বিয়ের কুঞ্জসহ নানান তৈজসপত্র তৈরি করলেও ভালো দাম পান না বলেও জানান কারিগররা।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন জানায়, এ শিল্পে নিয়োজিতদের নিয়ে ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে, খুব দ্রুতই তা সম্পন্ন হবে। এরপর আগ্রহীদের মধ্যে চালু করা হবে স্বল্প সুদে ঋণ কার্যক্রম।

আর্থিক অনুদান পেলে নতুন করে পুরোনো সুদিন ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।