ঢাকা , শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

সেন্টমার্টিনে তীব্র ঝড়, কাদামাটিও উড়ে যাচ্ছে

 

প্রবল শক্তি নিয়ে সেন্টমার্টিনে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ঝড়ের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ যে কাদামাটিও উড়ে যাচ্ছে।

রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হলেও দুপুরের পর পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হানে মোখা। তীব্র ঝড়ের ফলে বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ছে।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা তোফায়েল জানান, তীব্র ঝড় বইছে। সমুদ্রের পানি ও কাদামাটিও বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, মানুষের ঘরবাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বড় বড় গাছ দুমড়ে-মুচড়ে পড়ছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি প্রচুর। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পরে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূল ঝুঁকিটা চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। তবে, বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত থেকে যাবে। এর এ সময়ে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সেন্টমার্টিনে তীব্র ঝড়, কাদামাটিও উড়ে যাচ্ছে

আপলোড সময় : ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

 

প্রবল শক্তি নিয়ে সেন্টমার্টিনে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ঝড়ের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ যে কাদামাটিও উড়ে যাচ্ছে।

রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হলেও দুপুরের পর পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হানে মোখা। তীব্র ঝড়ের ফলে বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ছে।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা তোফায়েল জানান, তীব্র ঝড় বইছে। সমুদ্রের পানি ও কাদামাটিও বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, মানুষের ঘরবাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বড় বড় গাছ দুমড়ে-মুচড়ে পড়ছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি প্রচুর। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পরে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূল ঝুঁকিটা চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। তবে, বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত থেকে যাবে। এর এ সময়ে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে।