ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

সিরিয়ার মন্ত্রীরা প্রথম সফরে কাতারে পৌঁছেছেন

ছবি সংগৃহীত

গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার অন্তর্র্বর্তী সরকারের মন্ত্রীরা উপসাগরীয় রাষ্ট্রে তাদের প্রথম সফরের জন্য রোববার কাতারে পৌঁছেছেন বলে কর্মকর্তারা ও সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে।

সানা জানিয়েছে, অন্তর্র্বর্তীকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মরহাফ আবু কাসরা ও গোয়েন্দা বিভাগের নতুন প্রধান আনাস খাত্তাবের সঙ্গে ছিলেন।

এতে আরো বলা হয়, প্রতিনিধিদল কাতারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে।

একজন সিরীয় কূটনীতিক ও একজন কাতারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, শাইবানি বৈঠকের জন্য রোববার সকালে সেখানে পৌঁছেছেন।

অন্যান্য আরব দেশের মতো কাতার কখনোই আসাদের অধীনে সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেনি।

১১ দিনের  বিদ্রোহে স্বৈরশাসক আসাদের পতন হয়। বিদ্রোহীরা প্রধান শহরগুলো দ্রুত দখল করে নেয় এবং এরপর ডিসেম্বর মাসে রাজধানী দামেস্কের পতন হয়।

২০১১ সালে স্বৈরশাসক আসাদের সৈন্যরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক বিক্ষোভকে নির্মমভাবে দমন করার পর সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়।

এই গৃহযুদ্ধ পরে বহুমুখী যুদ্ধে রূপান্তরিত হয় এবং দোহা দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রধান সমর্থক।

শুক্রবার শাইবানি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বিবৃতিতে বলেন, তিনি আগামী দিনগুলোতে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান সফর করবেন।

তুরস্কের পর কাতারই ছিল দ্বিতীয় দেশ, আসাদের পতনের পর যেটি সিরিয়ার রাজধানীতে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে ।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সিরিয়ার মন্ত্রীরা প্রথম সফরে কাতারে পৌঁছেছেন

আপলোড সময় : ১১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার অন্তর্র্বর্তী সরকারের মন্ত্রীরা উপসাগরীয় রাষ্ট্রে তাদের প্রথম সফরের জন্য রোববার কাতারে পৌঁছেছেন বলে কর্মকর্তারা ও সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে।

সানা জানিয়েছে, অন্তর্র্বর্তীকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মরহাফ আবু কাসরা ও গোয়েন্দা বিভাগের নতুন প্রধান আনাস খাত্তাবের সঙ্গে ছিলেন।

এতে আরো বলা হয়, প্রতিনিধিদল কাতারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে।

একজন সিরীয় কূটনীতিক ও একজন কাতারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, শাইবানি বৈঠকের জন্য রোববার সকালে সেখানে পৌঁছেছেন।

অন্যান্য আরব দেশের মতো কাতার কখনোই আসাদের অধীনে সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেনি।

১১ দিনের  বিদ্রোহে স্বৈরশাসক আসাদের পতন হয়। বিদ্রোহীরা প্রধান শহরগুলো দ্রুত দখল করে নেয় এবং এরপর ডিসেম্বর মাসে রাজধানী দামেস্কের পতন হয়।

২০১১ সালে স্বৈরশাসক আসাদের সৈন্যরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক বিক্ষোভকে নির্মমভাবে দমন করার পর সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়।

এই গৃহযুদ্ধ পরে বহুমুখী যুদ্ধে রূপান্তরিত হয় এবং দোহা দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রধান সমর্থক।

শুক্রবার শাইবানি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বিবৃতিতে বলেন, তিনি আগামী দিনগুলোতে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান সফর করবেন।

তুরস্কের পর কাতারই ছিল দ্বিতীয় দেশ, আসাদের পতনের পর যেটি সিরিয়ার রাজধানীতে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে ।