
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা রোববার সকালে থানার সামনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার জামায়াতে ইসলামের যুব বিভাগের বুড়ইল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াডের সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাকারিয়া ইসলাম, একই ইউনিয়নের জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আতিকুল ইসলাম ও ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকাল ৯টার দিকে জামায়াত ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা থানায় এসে জানতে চান কেন তাঁদের আটক করা হয়েছে। পরে তাঁরা থানার বাইরে অবস্থান নিয়ে আসামিদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ আদালতে চালান দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে তাঁরা চলে যান।
সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ৩০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে নন্দীগ্রাম ফিলিং স্টেশনের সামনে তাঁর ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর মা নাজমা বিবি পরদিন সাতজনকে আসামি করে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা করেন। এরপরই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য নন্দীগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) আবু মুসা সরকার বলেন, “তিনজনই সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের একজন, আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে আগের একটি মামলাও রয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।