ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

সংস্কার সংক্ষিপ্ত হলে বছরের শেষে নির্বাচন: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যদি আমরা সংক্ষিপ্ত ধরনের সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করি, সেক্ষেত্রে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচনের টার্গেট করেছি। কিন্তু যদি জনগণ বলে ‘না না আমরা বড় পরিসরে সংস্কার চাই, সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন আরও ছয় মাস।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে ‘আ কনভারসেশন উইথ মুহাম্মদ ইউনূস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা স্বল্প নাকি বড় ধরনের সংস্কার চান। বড় ধরনের সংস্কার হলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি, আর ছোট ধরনের সংস্কার হলে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন হবে। সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি।

ড. ইউনূস বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট এলে জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। কমিশনের যেসব সুপারিশ গ্রহণ করা হবে, শুধু সেগুলোই বাস্তবায়ন করা হবে। সব দল ও নাগরিক সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই চার্টার করা হবে। জুলাই চার্টারের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ আমাদের কর্মপন্থা শুরু করব। জনগণ কী ধরনের নির্বাচন চায়, সেটা জানা ছাড়া আমরা নির্বাচনে যেতে পারি না।

বাংলাদেশের তরুণরা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম দাবি করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি তরুণদের বলেছি, তোমরা পুরনো প্রজন্মকে ফলো করো না। আমরা অনেক ভুল করেছি।

ভোটার হওয়ার বয়স নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ভোটার হওয়ার বয়স ‌১৮। আমি পরামর্শ দিয়েছি, ভোটারের বয়স ১৬ হওয়া উচিত। কারণ, আমাদের তরুণরা খুবই ম্যাচিউরড। ১৬ আর ১৮-র মধ্যে তফাত কী! কে বলেছে, ১৮ বছর যা জানে, তা ১৬ বছর বয়সিরা জানে না।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিতর্কে জর্জরিত ফরিদপুর উপজেলা বিএনপি কমিটি ৯ দিনের মাথায় বাতিল

সংস্কার সংক্ষিপ্ত হলে বছরের শেষে নির্বাচন: ড. ইউনূস

আপলোড সময় : ১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যদি আমরা সংক্ষিপ্ত ধরনের সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করি, সেক্ষেত্রে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচনের টার্গেট করেছি। কিন্তু যদি জনগণ বলে ‘না না আমরা বড় পরিসরে সংস্কার চাই, সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন আরও ছয় মাস।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে ‘আ কনভারসেশন উইথ মুহাম্মদ ইউনূস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা স্বল্প নাকি বড় ধরনের সংস্কার চান। বড় ধরনের সংস্কার হলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি, আর ছোট ধরনের সংস্কার হলে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন হবে। সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি।

ড. ইউনূস বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট এলে জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। কমিশনের যেসব সুপারিশ গ্রহণ করা হবে, শুধু সেগুলোই বাস্তবায়ন করা হবে। সব দল ও নাগরিক সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই চার্টার করা হবে। জুলাই চার্টারের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ আমাদের কর্মপন্থা শুরু করব। জনগণ কী ধরনের নির্বাচন চায়, সেটা জানা ছাড়া আমরা নির্বাচনে যেতে পারি না।

বাংলাদেশের তরুণরা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম দাবি করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি তরুণদের বলেছি, তোমরা পুরনো প্রজন্মকে ফলো করো না। আমরা অনেক ভুল করেছি।

ভোটার হওয়ার বয়স নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ভোটার হওয়ার বয়স ‌১৮। আমি পরামর্শ দিয়েছি, ভোটারের বয়স ১৬ হওয়া উচিত। কারণ, আমাদের তরুণরা খুবই ম্যাচিউরড। ১৬ আর ১৮-র মধ্যে তফাত কী! কে বলেছে, ১৮ বছর যা জানে, তা ১৬ বছর বয়সিরা জানে না।