ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

শীতে স্থবির জনজীবন, বোরো বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কা

কুড়িগ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে পুরো জেলার মানুষের শীতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশা কমে গেলেও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাবে এ অঞ্চলের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক সপ্তাহ পর একটু সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তা আবারও মেঘে ঢাকা পড়ে যায়। ফলে শীতে কাবু জনপদের মানুষজনের ভোগান্তি কমেনি। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবিরা পড়েছে এ অবস্থায় চরম বিপাকে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। গরম কাপড় পরে গেলেও ঠান্ডা নিবারণ করতে পরছে না। এতে বছরের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন কমছে বলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অভিভাবকগণ জানিয়েছেন।

 

অন্যদিকে, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী মানুষজন হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে। দখিনা বাতাসে নদী পাড়ের মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে শীতের মারাত্মক প্রকোপ থেকেই যাচ্ছে। আর এ জেলায় আরও শীতবস্ত্রসহ কম্বলের প্রয়োজন বলে শীতার্ত মানুষজনের প্রত্যাশা।

 

ধরলা নদীর জিগামারী ঘাট এলাকার কৃষক জলিল মিয়া জানান, একদিকে কুয়াশা আবার মেঘে ভরপুর আকাশ। নদী পাড়ের ঠান্ডা বাতাসে বোরোর বীজ নিয়ে সংকটে পড়েছি।

 

কুড়িগ্রামে শীতে স্থবির জনজীবন, বোরো বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কা

 

এদিকে, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বোরো বীজতলা ও সদ্য বেড়ে ওঠা আলুর খেতের ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদেরা। অনেক কৃষক প্রচন্ড ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে বোরো চাষে হাল দিতে ও জমি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকেই আলু খেত পরিচর্যা করতে বেলা গড়িয়ে দুপুরে জমিতে যাচ্ছেন।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, গত এক সপ্তাহে কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বোরো বীজতলা যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কুয়াশা দূর করতে রশি কিংবা কঞ্চি দিয়ে টানা দিতে এবং হলুদাভ রঙের বীজে স্প্রে করতে বলা হয়েছে।

 

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা গতদিনের চেয়ে আরও কমেছে। এছাড়াও কয়েকদিনের মধ্যে এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিতর্কে জর্জরিত ফরিদপুর উপজেলা বিএনপি কমিটি ৯ দিনের মাথায় বাতিল

শীতে স্থবির জনজীবন, বোরো বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কা

আপলোড সময় : ১০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

কুড়িগ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে পুরো জেলার মানুষের শীতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশা কমে গেলেও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাবে এ অঞ্চলের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক সপ্তাহ পর একটু সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তা আবারও মেঘে ঢাকা পড়ে যায়। ফলে শীতে কাবু জনপদের মানুষজনের ভোগান্তি কমেনি। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবিরা পড়েছে এ অবস্থায় চরম বিপাকে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। গরম কাপড় পরে গেলেও ঠান্ডা নিবারণ করতে পরছে না। এতে বছরের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন কমছে বলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অভিভাবকগণ জানিয়েছেন।

 

অন্যদিকে, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী মানুষজন হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে। দখিনা বাতাসে নদী পাড়ের মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে শীতের মারাত্মক প্রকোপ থেকেই যাচ্ছে। আর এ জেলায় আরও শীতবস্ত্রসহ কম্বলের প্রয়োজন বলে শীতার্ত মানুষজনের প্রত্যাশা।

 

ধরলা নদীর জিগামারী ঘাট এলাকার কৃষক জলিল মিয়া জানান, একদিকে কুয়াশা আবার মেঘে ভরপুর আকাশ। নদী পাড়ের ঠান্ডা বাতাসে বোরোর বীজ নিয়ে সংকটে পড়েছি।

 

কুড়িগ্রামে শীতে স্থবির জনজীবন, বোরো বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কা

 

এদিকে, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বোরো বীজতলা ও সদ্য বেড়ে ওঠা আলুর খেতের ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদেরা। অনেক কৃষক প্রচন্ড ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে বোরো চাষে হাল দিতে ও জমি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকেই আলু খেত পরিচর্যা করতে বেলা গড়িয়ে দুপুরে জমিতে যাচ্ছেন।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, গত এক সপ্তাহে কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বোরো বীজতলা যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কুয়াশা দূর করতে রশি কিংবা কঞ্চি দিয়ে টানা দিতে এবং হলুদাভ রঙের বীজে স্প্রে করতে বলা হয়েছে।

 

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা গতদিনের চেয়ে আরও কমেছে। এছাড়াও কয়েকদিনের মধ্যে এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।