ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

যে কারণে শীতে প্রতিদিন ছোলা খাবেন

  • হান্ডিয়াল নিউজ  
  • আপলোড সময় : ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ২১৫ বার দেখা হয়েছে।

ছবি সংগৃহীত

ছোলায় আমিষের পরিমাণ মাংস বা মাছের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান। এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়াও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ। ছোলা আমাদের শরীরে এমন কিছু চমকপ্রদ উপকার করে, যা বিবেচনায় এটা শীতকালেও নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশে রমজানে ঘরে ঘরে ইফতারে ছোলা খাওয়া হয়। বছরের অন্য সময়টাতে ছোলার চাহিদা রমজানের মতো প্রবল নয়। তাই রমজান শেষ হলে ছোলা খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়েটে সেসব খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণকে সহজেই পরাস্ত করতে পারে। এমন একটি খাবার হলো, ছোলা। আমাদের দেশে এটি সহজলভ্য খাবার।

ছোলার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন-

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে : শরীরে আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যার কারণে দুর্বলতা ও ক্লান্তিতে ভুগতে হয়। নিয়মিত ছোলা খেলে রক্তশূন্যতা এড়ানো সম্ভব হবে। ১০০ গ্রাম ছোলাতে ৬.২ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। এ ছাড়া ছোলার ভিটামিন ‘সি’ আয়রন শোষণে সহায়তা করে।

দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে : ছোলাতে উচ্চমানের প্রোটিনসহ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। প্রতি আউন্স ছোলাতে ২ গ্রাম ফাইবার পাবেন। প্রোটিন ও ফাইবারের সমন্বয় পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে। উভয় পুষ্টি ধীর হজমে সহায়তার জন্য একত্রে কাজ করে, যার ফলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা অনুভূত হয় না।

হার্টের সুরক্ষা দেয় : হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে শীতকালে নিয়মিত ছোলা খেতে পারেন। প্রোটিন ও ফাইবার ছাড়াও ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও সেলেনিয়াম। গবেষণায় দেখা গেছে, পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম হৃদস্পন্দনের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে। সেলেনিয়াম প্রদাহ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় : ছোলা শরীরে বিউটাইরেট নামক শট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। যা শরীর থেকে অসুস্থ ও মুমূর্ষু কোষ অপসারণে সাহায্য করে। এর ফলে ক্যানসার প্রতিরোধ হয়। এই খাবারে লাইকোপিন, বায়োচেনিন ও স্যাপোনিনও রয়েছে। এসব ডায়েটারি বায়োঅ্যাক্টিভ কম্পাউন্ডও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যে কারণে শীতে প্রতিদিন ছোলা খাবেন

আপলোড সময় : ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

ছোলায় আমিষের পরিমাণ মাংস বা মাছের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান। এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়াও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ। ছোলা আমাদের শরীরে এমন কিছু চমকপ্রদ উপকার করে, যা বিবেচনায় এটা শীতকালেও নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশে রমজানে ঘরে ঘরে ইফতারে ছোলা খাওয়া হয়। বছরের অন্য সময়টাতে ছোলার চাহিদা রমজানের মতো প্রবল নয়। তাই রমজান শেষ হলে ছোলা খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়েটে সেসব খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণকে সহজেই পরাস্ত করতে পারে। এমন একটি খাবার হলো, ছোলা। আমাদের দেশে এটি সহজলভ্য খাবার।

ছোলার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন-

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে : শরীরে আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যার কারণে দুর্বলতা ও ক্লান্তিতে ভুগতে হয়। নিয়মিত ছোলা খেলে রক্তশূন্যতা এড়ানো সম্ভব হবে। ১০০ গ্রাম ছোলাতে ৬.২ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। এ ছাড়া ছোলার ভিটামিন ‘সি’ আয়রন শোষণে সহায়তা করে।

দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে : ছোলাতে উচ্চমানের প্রোটিনসহ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। প্রতি আউন্স ছোলাতে ২ গ্রাম ফাইবার পাবেন। প্রোটিন ও ফাইবারের সমন্বয় পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে। উভয় পুষ্টি ধীর হজমে সহায়তার জন্য একত্রে কাজ করে, যার ফলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা অনুভূত হয় না।

হার্টের সুরক্ষা দেয় : হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে শীতকালে নিয়মিত ছোলা খেতে পারেন। প্রোটিন ও ফাইবার ছাড়াও ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও সেলেনিয়াম। গবেষণায় দেখা গেছে, পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম হৃদস্পন্দনের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে। সেলেনিয়াম প্রদাহ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় : ছোলা শরীরে বিউটাইরেট নামক শট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। যা শরীর থেকে অসুস্থ ও মুমূর্ষু কোষ অপসারণে সাহায্য করে। এর ফলে ক্যানসার প্রতিরোধ হয়। এই খাবারে লাইকোপিন, বায়োচেনিন ও স্যাপোনিনও রয়েছে। এসব ডায়েটারি বায়োঅ্যাক্টিভ কম্পাউন্ডও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।