ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

যে কারণে বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করবে সরকার

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে (বিআরটিএ) গত ১৯ ডিসেম্বর নিজেদের অবস্থার উন্নতির জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেন সড়ক সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। যা প্রায় শেষের দিকে। তবে এই সময়ের মধ্যে বিআরটিএ কিছুটা উন্নতি করতে পারলেও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে যেতে পারেনি বলে মনে করেন উপদেষ্টা।

 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বিআরটিএ ভবনে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘বিআরটিএ এর কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, তারা যে আচরণ করছে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমি তাদের এটাও বলেছি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কাজের যদি উন্নতি না হয়, তাহলে আমরা বিআরটিএ বন্ধ করে দেওয়ার কথা চিন্তা করব।’

 

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা বিআরটিএ’কে প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখব। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। এটাকে আরও বাড়ানো হবে।’

 

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন আমাদের সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে তথ্য উপাত্ত দিয়েছে। গত বছর সারা দেশে ৭ হাজার ২৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। তা আগের বছরের থেকে ১২ শতাংশ বেশি। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করার পর সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারিনি এর দায় আমরা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘জীবনের কোনো মূল্য হয় না। তবে অপরাধ স্বীকারের অংশ হিসেবে আমরা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছি। ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, গাড়ির ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স না থাকার জন্য যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে বিআরটিএ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সরাসরি দায়ী করা হবে। এসব মৃত্যুর দায়িত্ব তাদের ওপর আসবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস ইস্যু করার প্রক্রিয়া অনেক জটিল। তাই এখন থেকে লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থাটা সহজ করা হবে এবং কার্যকরী করা হবে। এ জন্য আমরা প্রথমেই চালকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যে কারণে বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করবে সরকার

আপলোড সময় : ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে (বিআরটিএ) গত ১৯ ডিসেম্বর নিজেদের অবস্থার উন্নতির জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেন সড়ক সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। যা প্রায় শেষের দিকে। তবে এই সময়ের মধ্যে বিআরটিএ কিছুটা উন্নতি করতে পারলেও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে যেতে পারেনি বলে মনে করেন উপদেষ্টা।

 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বিআরটিএ ভবনে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘বিআরটিএ এর কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, তারা যে আচরণ করছে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমি তাদের এটাও বলেছি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কাজের যদি উন্নতি না হয়, তাহলে আমরা বিআরটিএ বন্ধ করে দেওয়ার কথা চিন্তা করব।’

 

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা বিআরটিএ’কে প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখব। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। এটাকে আরও বাড়ানো হবে।’

 

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন আমাদের সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে তথ্য উপাত্ত দিয়েছে। গত বছর সারা দেশে ৭ হাজার ২৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। তা আগের বছরের থেকে ১২ শতাংশ বেশি। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করার পর সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারিনি এর দায় আমরা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘জীবনের কোনো মূল্য হয় না। তবে অপরাধ স্বীকারের অংশ হিসেবে আমরা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছি। ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, গাড়ির ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স না থাকার জন্য যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে বিআরটিএ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সরাসরি দায়ী করা হবে। এসব মৃত্যুর দায়িত্ব তাদের ওপর আসবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস ইস্যু করার প্রক্রিয়া অনেক জটিল। তাই এখন থেকে লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থাটা সহজ করা হবে এবং কার্যকরী করা হবে। এ জন্য আমরা প্রথমেই চালকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।