ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

যেসব লক্ষণে বুঝবেন ডায়াবেটিস হয়েছে

  • হান্ডিয়াল নিউজঃ
  • আপলোড সময় : ১১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • ২০১ বার দেখা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগে। ডায়াবেটিসের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা রোগীদের কখনোই সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না।

আগের যুগে, এই রোগটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেই ঘটত। তবে আজকাল এই রোগটি সব বয়সীদের মধ্যে ধরা পড়ছে। ডায়াবেটিসের সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ সবাই কম-বেশি জানলেও তা এড়িয়ে যান। তবে এ লক্ষণগুলো দেখলে অবশ্যই আপানাকে সতর্ক হতে হবে এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে।

ডায়াবেটিস হলে ক্লান্তি, অত্যধিক ক্ষুধা, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং খিটখিটে মেজাজ হয়। পাশাপাশি ডায়াবেটিস হলে মুখে তিনটি সতর্কতা লক্ষণ প্রকাশ পায়।

শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রাসহ সামগ্রিক অসুস্থতা সম্পর্কে আপানার মুখের স্বাস্থ্যই আপনাকে জানান দিবে। ঠিক তেমনই ডায়াবেটিস হলে মুখে তিনটি সতর্কতার লক্ষণ প্রকাশ পায়।

শুকনো মুখ

ডায়াবেটিসের সাধারণ ও প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে শুকনো বা শুষ্ক মুখ অন্যতম। টাইপ-১ বা টাইপ-২ উভয় ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেই এই লক্ষণ দেখা যায়। সবসময় মুখ ও গলা শুকিয়ে আসে এ ক্ষেত্রে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রোগীর মুখের লালা উৎপাদন কমে যায়। শুষ্ক মুখের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে, রুক্ষ বা শুকনো জিহ্বা, মুখে আর্দ্রতার অভাব, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, মুখে ফোলাভাব, খাবার গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি।

মাড়ির রোগ শুধু শুষ্ক মুখ নয়, পাশাপাশি দাঁতের চারপাশে এবং মাড়ির নিচে লালা উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে রক্তে শর্করার মাত্রা। শরীরে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মাড়ির চারপাশে জ্বালা করে। এমনকি মাড়ির রোগ, দাঁত ক্ষয়ও হতে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মাড়ির রোগ বেশি দেখা যায়। মাড়ির রোগ হওয়া রক্তের শর্করার মাত্রা আরও খারাপ হওয়ার অবস্থার ইঙ্গিত। মাড়ির রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- লাল, ফোলা, কালশিটে বা মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, দাঁত আলগা হওয়া, খাবারে কামড় বা চিবানোর সময় কষ্ট হওয়া, মুখের দুর্গন্ধ বা খারাপ স্বাদ ইত্যাদি।

দাঁতের ক্ষতি মাড়ির রোগ হওয়ার কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাড়ির চারপাশে প্লাক গঠনের ফলে দাঁত আলগা হতে শুরু করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীরা দাঁতের সমস্যায় বেশি ভোগেন। যারা নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেন না; তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়ে। দাঁত নষ্ট হওয়ার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো- মাড়ির চারপাশ ফুলে যাওয়া, ঘা ও দাঁতের ব্যথা।

এ ছাড়াও ডায়াবেটিসের আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেমন-

  • দুর্বল দৃষ্টিশক্তি
  • ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ হওয়া
  • আঘাত থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার
  • ঘন ঘন খিদে লাগা
  • ত্বকের সংক্রমণ
  • শুষ্ক ত্বক হয়ে যাওয়া
  • ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
  • চামড়া ফেটে যাওয়া
  • ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া
  • শরীরের ওজন হ্রাস
নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যেসব লক্ষণে বুঝবেন ডায়াবেটিস হয়েছে

আপলোড সময় : ১১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগে। ডায়াবেটিসের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা রোগীদের কখনোই সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না।

আগের যুগে, এই রোগটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেই ঘটত। তবে আজকাল এই রোগটি সব বয়সীদের মধ্যে ধরা পড়ছে। ডায়াবেটিসের সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ সবাই কম-বেশি জানলেও তা এড়িয়ে যান। তবে এ লক্ষণগুলো দেখলে অবশ্যই আপানাকে সতর্ক হতে হবে এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে।

ডায়াবেটিস হলে ক্লান্তি, অত্যধিক ক্ষুধা, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং খিটখিটে মেজাজ হয়। পাশাপাশি ডায়াবেটিস হলে মুখে তিনটি সতর্কতা লক্ষণ প্রকাশ পায়।

শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রাসহ সামগ্রিক অসুস্থতা সম্পর্কে আপানার মুখের স্বাস্থ্যই আপনাকে জানান দিবে। ঠিক তেমনই ডায়াবেটিস হলে মুখে তিনটি সতর্কতার লক্ষণ প্রকাশ পায়।

শুকনো মুখ

ডায়াবেটিসের সাধারণ ও প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে শুকনো বা শুষ্ক মুখ অন্যতম। টাইপ-১ বা টাইপ-২ উভয় ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেই এই লক্ষণ দেখা যায়। সবসময় মুখ ও গলা শুকিয়ে আসে এ ক্ষেত্রে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রোগীর মুখের লালা উৎপাদন কমে যায়। শুষ্ক মুখের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে, রুক্ষ বা শুকনো জিহ্বা, মুখে আর্দ্রতার অভাব, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, মুখে ফোলাভাব, খাবার গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি।

মাড়ির রোগ শুধু শুষ্ক মুখ নয়, পাশাপাশি দাঁতের চারপাশে এবং মাড়ির নিচে লালা উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে রক্তে শর্করার মাত্রা। শরীরে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মাড়ির চারপাশে জ্বালা করে। এমনকি মাড়ির রোগ, দাঁত ক্ষয়ও হতে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মাড়ির রোগ বেশি দেখা যায়। মাড়ির রোগ হওয়া রক্তের শর্করার মাত্রা আরও খারাপ হওয়ার অবস্থার ইঙ্গিত। মাড়ির রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- লাল, ফোলা, কালশিটে বা মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, দাঁত আলগা হওয়া, খাবারে কামড় বা চিবানোর সময় কষ্ট হওয়া, মুখের দুর্গন্ধ বা খারাপ স্বাদ ইত্যাদি।

দাঁতের ক্ষতি মাড়ির রোগ হওয়ার কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাড়ির চারপাশে প্লাক গঠনের ফলে দাঁত আলগা হতে শুরু করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীরা দাঁতের সমস্যায় বেশি ভোগেন। যারা নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেন না; তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়ে। দাঁত নষ্ট হওয়ার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো- মাড়ির চারপাশ ফুলে যাওয়া, ঘা ও দাঁতের ব্যথা।

এ ছাড়াও ডায়াবেটিসের আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেমন-

  • দুর্বল দৃষ্টিশক্তি
  • ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ হওয়া
  • আঘাত থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার
  • ঘন ঘন খিদে লাগা
  • ত্বকের সংক্রমণ
  • শুষ্ক ত্বক হয়ে যাওয়া
  • ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
  • চামড়া ফেটে যাওয়া
  • ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া
  • শরীরের ওজন হ্রাস