ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা, বেড়েছে উৎপাদন

সিরাজগঞ্জের চলনবিলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। আর এই সরিষার মাঠের পাশে শত শত মৌবাক্স বসিয়ে মৌমাছি দিয়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে মধু। চলতি মৌসুমে বেড়েছে সরিষার আবাদ বাড়ায় মধু উৎপাদন নিয়ে খুশি খামার মালিকরা।

দিগন্ত জোড়া এই হলুদ রাঙ্গা সরিষার মাঠে মৌমাছি দিয়ে মধু আহরণে এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছে মৌ চাষিরা। সরিষা ক্ষেতের মাঝে মাঝে মৌবাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে তারা। বিশেষ ভাবে তৈরি এসব মৌবাক্সে ৭ থেকে ৮টি করে মৌচাক বা কলোনী রয়েছে। সারাদিন মৌমাছিগুলো সরিষা ফুল থেকে একটু একটু করে মধু সংগ্রহ করে এসব মৌচাকে জমা করে। আর মৌয়ালরা সাতদিন পর পর বিশেষ কৌশলে ধোঁয়ার মাধ্যমে চাক থেকে মৌমাছি সরিয়ে মৌচাকগুলো একটি মেশিনে দেয়। তারপর সেই মৌচাকগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মধু বের করে। পরে উৎপাদিত মধু বিভিন্ন পাত্রে ভরে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়।

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সরিষার আবাদ বাড়ার পাশাপাশি মধুও উৎপানও বেড়েছে বলে জানায় মৌয়ালরা।
আদর্শ মৌ খামারের  স্বত্ত্বাধিকারি শহিদুল ইসলাম বলেন, এবারের মধুর উৎপাদন ও গ্রেড অনেক ভালো। প্রতিটি খামারেই ভালো উৎপাদন হচ্ছে। তবে মধু সঠিক বাজার ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকটি সিন্ডিকেটের কারণে মধুর সঠিক দাম পাচ্ছি না আমরা। লোকসান কাটাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি ব্যবসায়ীদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, সরিষা ক্ষেতে মৌবাক্স থাকলে মৌমাছির মাধ্যমে ফুলে পরাগায়ন হয়। এতে সরিষার ফলন বৃদ্ধি পায় সেইসঙ্গে মধু ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। মৌয়ালরা যাতে সঠিক পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করতে পারে সেজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৮৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা, বেড়েছে উৎপাদন

আপলোড সময় : ০৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জের চলনবিলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। আর এই সরিষার মাঠের পাশে শত শত মৌবাক্স বসিয়ে মৌমাছি দিয়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে মধু। চলতি মৌসুমে বেড়েছে সরিষার আবাদ বাড়ায় মধু উৎপাদন নিয়ে খুশি খামার মালিকরা।

দিগন্ত জোড়া এই হলুদ রাঙ্গা সরিষার মাঠে মৌমাছি দিয়ে মধু আহরণে এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছে মৌ চাষিরা। সরিষা ক্ষেতের মাঝে মাঝে মৌবাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে তারা। বিশেষ ভাবে তৈরি এসব মৌবাক্সে ৭ থেকে ৮টি করে মৌচাক বা কলোনী রয়েছে। সারাদিন মৌমাছিগুলো সরিষা ফুল থেকে একটু একটু করে মধু সংগ্রহ করে এসব মৌচাকে জমা করে। আর মৌয়ালরা সাতদিন পর পর বিশেষ কৌশলে ধোঁয়ার মাধ্যমে চাক থেকে মৌমাছি সরিয়ে মৌচাকগুলো একটি মেশিনে দেয়। তারপর সেই মৌচাকগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মধু বের করে। পরে উৎপাদিত মধু বিভিন্ন পাত্রে ভরে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়।

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সরিষার আবাদ বাড়ার পাশাপাশি মধুও উৎপানও বেড়েছে বলে জানায় মৌয়ালরা।
আদর্শ মৌ খামারের  স্বত্ত্বাধিকারি শহিদুল ইসলাম বলেন, এবারের মধুর উৎপাদন ও গ্রেড অনেক ভালো। প্রতিটি খামারেই ভালো উৎপাদন হচ্ছে। তবে মধু সঠিক বাজার ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকটি সিন্ডিকেটের কারণে মধুর সঠিক দাম পাচ্ছি না আমরা। লোকসান কাটাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি ব্যবসায়ীদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, সরিষা ক্ষেতে মৌবাক্স থাকলে মৌমাছির মাধ্যমে ফুলে পরাগায়ন হয়। এতে সরিষার ফলন বৃদ্ধি পায় সেইসঙ্গে মধু ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। মৌয়ালরা যাতে সঠিক পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করতে পারে সেজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৮৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি।