ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

ভারতীয় ভিসা বন্ধে ভ্রমণ খাতে বিরূপ প্রভাব

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধের জেরে যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে একেবারে কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর চলাচল। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে উভয় দেশের ভ্রমণ খাতে। বাংলাদেশের ক্ষতির পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে অচলাবস্থা নেমে এসেছে।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারতে গেছেন ১৪৭১ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ১ হাজার ১৯৪ জন, ভারতীয় ২৭৪, জাপানের ২ ও একজন নেপালের পাসপোর্টধারী ছিলেন। এছাড়া খুলনা-কলকাতা রুটে ‘বন্ধন’ রেলে যাত্রীসেবা এখনও বন্ধ থাকায় নিরাপদ যাতায়াতে বেড়েছে ভোগান্তি। তবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভিসা সীমিত ও দু’দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী সেবা বন্ধ করে দেয় ভারত।

সূত্রমতে, যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ যান চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে। অন্যদিকে, যেসব ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেন, তাদের একটি বড় অংশ আসেন কম খরচে মেডিকেল শিক্ষার জন্য। বর্তমানে দেশের ১০৮টি মেডিকেল কলেজে ১০ হাজারের বেশি বিদেশি অধ্যয়নরত, যাদের বেশিরভাগ ভারতীয়। এছাড়া ট্যুরিস্ট ও ওয়ার্ক ভিসায় দেশে প্রায় ১০ লাখের মতো ভারতীয় চাকরি করছেন।

 

বাংলাদেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলেও নানান অজুহাত দেখিয়ে এখনও স্বাভাবিক ভিসা প্রদান ও রেল পথে বেনাপোল-পেট্রাপোল হয়ে যাত্রী সেবা বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে একদিকে ভিসা না পেয়ে যাত্রী যাতায়াত যেমন কমে এসেছে, তেমনি স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে দুদেশের মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাতায়াত করলেও এখন তা কমে দেড় হাজারের ঘরে নেমেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুই দেশেই ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কেবল বেনাপোল রুটে ভ্রমণ খাতে ভিসা ফি বাবদ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে ভারতীয় দূতাবাস। তবে এখনও ‘বন্ধন’ রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় এ পথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি বেড়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ জানিয়েছেন, ভিসা স্বাভাবিক না থাকায় যাত্রী একেবারে কমে এসেছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভারতীয় ভিসা বন্ধে ভ্রমণ খাতে বিরূপ প্রভাব

আপলোড সময় : ১১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধের জেরে যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে একেবারে কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর চলাচল। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে উভয় দেশের ভ্রমণ খাতে। বাংলাদেশের ক্ষতির পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে অচলাবস্থা নেমে এসেছে।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারতে গেছেন ১৪৭১ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ১ হাজার ১৯৪ জন, ভারতীয় ২৭৪, জাপানের ২ ও একজন নেপালের পাসপোর্টধারী ছিলেন। এছাড়া খুলনা-কলকাতা রুটে ‘বন্ধন’ রেলে যাত্রীসেবা এখনও বন্ধ থাকায় নিরাপদ যাতায়াতে বেড়েছে ভোগান্তি। তবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভিসা সীমিত ও দু’দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী সেবা বন্ধ করে দেয় ভারত।

সূত্রমতে, যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ যান চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে। অন্যদিকে, যেসব ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেন, তাদের একটি বড় অংশ আসেন কম খরচে মেডিকেল শিক্ষার জন্য। বর্তমানে দেশের ১০৮টি মেডিকেল কলেজে ১০ হাজারের বেশি বিদেশি অধ্যয়নরত, যাদের বেশিরভাগ ভারতীয়। এছাড়া ট্যুরিস্ট ও ওয়ার্ক ভিসায় দেশে প্রায় ১০ লাখের মতো ভারতীয় চাকরি করছেন।

 

বাংলাদেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলেও নানান অজুহাত দেখিয়ে এখনও স্বাভাবিক ভিসা প্রদান ও রেল পথে বেনাপোল-পেট্রাপোল হয়ে যাত্রী সেবা বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে একদিকে ভিসা না পেয়ে যাত্রী যাতায়াত যেমন কমে এসেছে, তেমনি স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে দুদেশের মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাতায়াত করলেও এখন তা কমে দেড় হাজারের ঘরে নেমেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুই দেশেই ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কেবল বেনাপোল রুটে ভ্রমণ খাতে ভিসা ফি বাবদ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে ভারতীয় দূতাবাস। তবে এখনও ‘বন্ধন’ রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় এ পথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি বেড়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ জানিয়েছেন, ভিসা স্বাভাবিক না থাকায় যাত্রী একেবারে কমে এসেছে।