ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি গাজায়

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক।

বুধবার (২২ নভেম্বর) আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ তথ্য জানান।

 

মুসা আবু মারজুক জানান, যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজা উপত্যকার সর্বত্র গোলাগুলি বন্ধ থাকবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজার আকাশে কোনো যুদ্ধবিমান দেখা যাবে না।

 

যুদ্ধবিরতির এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, কাতারের আমীর শেখ তামিম ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসিকে ধন্যবাদ জানান।

 

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব আর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই সমঝোতার দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলবে না বলে মনে করছে হামাস।

 

হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের সদস্য খলিল আল-হায়া বলেন, সমঝোতার বিস্তারিত পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে খুব একটা লাভ হবে না। যদি দখলদারিত্ব চলতে থাকে, হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না হয়, যদি রক্ত পিপাসা থাকে, তাহলে একাধিক প্রতিবন্ধকতা তৈরির ধারাবাহিকতায় পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।

 

শর্ত অনুযায়ী হামাসের হাতে থাকা ৫০ বন্দিমুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। দুই পক্ষই শুধু নারী এবং শিশুদের মুক্তি দেবে। প্রতিদিন ১০ জন বন্দিমুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ একদিন করে বাড়বে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি গাজায়

আপলোড সময় : ১১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের গাজায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক।

বুধবার (২২ নভেম্বর) আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ তথ্য জানান।

 

মুসা আবু মারজুক জানান, যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজা উপত্যকার সর্বত্র গোলাগুলি বন্ধ থাকবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজার আকাশে কোনো যুদ্ধবিমান দেখা যাবে না।

 

যুদ্ধবিরতির এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, কাতারের আমীর শেখ তামিম ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসিকে ধন্যবাদ জানান।

 

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব আর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই সমঝোতার দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলবে না বলে মনে করছে হামাস।

 

হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের সদস্য খলিল আল-হায়া বলেন, সমঝোতার বিস্তারিত পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে খুব একটা লাভ হবে না। যদি দখলদারিত্ব চলতে থাকে, হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না হয়, যদি রক্ত পিপাসা থাকে, তাহলে একাধিক প্রতিবন্ধকতা তৈরির ধারাবাহিকতায় পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।

 

শর্ত অনুযায়ী হামাসের হাতে থাকা ৫০ বন্দিমুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। দুই পক্ষই শুধু নারী এবং শিশুদের মুক্তি দেবে। প্রতিদিন ১০ জন বন্দিমুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ একদিন করে বাড়বে।