ঢাকা , শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গলাকেটে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কিশোরী বৃষ্টি আক্তারকে (১৫) গলাকেটে হত্যার দায়ে আবুল হোসেন নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাধার এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সরফদিনগর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। বৃষ্টি আক্তারের বাবা রমজান আলী ও আবুল হোসেন (৪৫) পরস্পর পরিচিত ও একই সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করতেন। এই সূত্রে আবুল হোসেনের যাতায়াত ছিল বৃষ্টিদের বাড়িতে। একপর্যায়ে বৃষ্টিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আবুল হোসেন। বয়স বেশী হওয়ায় রাজি হয়নি বৃষ্টির পরিবার। আবুল হোসেনকেও বাড়িতে আসা নিষেধ করে দিয়ে অন্যত্র বৃষ্টির বিয়ে ঠিক করেন।

বিয়ে করতে না পারায় ঘটনার দিন মা-বাবার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে ঢুকে আবুল হোসেন বৃষ্টির গলায় ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গলায় ক্ষত নিয়েই বৃষ্টি দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে কিছুটা দূরে রাস্তায় পড়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বৃষ্টির মা আকলিমা আক্তার হরিরামপুর থানায় আবুল হোসেনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কহিনুর ইসলাম চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষ্য দেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গলাকেটে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড

আপলোড সময় : ০৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কিশোরী বৃষ্টি আক্তারকে (১৫) গলাকেটে হত্যার দায়ে আবুল হোসেন নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাধার এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সরফদিনগর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। বৃষ্টি আক্তারের বাবা রমজান আলী ও আবুল হোসেন (৪৫) পরস্পর পরিচিত ও একই সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করতেন। এই সূত্রে আবুল হোসেনের যাতায়াত ছিল বৃষ্টিদের বাড়িতে। একপর্যায়ে বৃষ্টিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আবুল হোসেন। বয়স বেশী হওয়ায় রাজি হয়নি বৃষ্টির পরিবার। আবুল হোসেনকেও বাড়িতে আসা নিষেধ করে দিয়ে অন্যত্র বৃষ্টির বিয়ে ঠিক করেন।

বিয়ে করতে না পারায় ঘটনার দিন মা-বাবার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে ঢুকে আবুল হোসেন বৃষ্টির গলায় ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গলায় ক্ষত নিয়েই বৃষ্টি দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে কিছুটা দূরে রাস্তায় পড়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বৃষ্টির মা আকলিমা আক্তার হরিরামপুর থানায় আবুল হোসেনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কহিনুর ইসলাম চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষ্য দেন।