ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

বান্ধবীর বিয়ে হওয়ায় অপর বান্ধবীর আত্মহত্যা!

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বান্ধবীর বিয়ে হওয়ায় ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে অপর বান্ধবীর আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত রিয়া খাতুন (১৭) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের রাশিদুল মালিথার মেয়ে। কুমারখালী আদর্শ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।

ফেসবুক স্টাটাসে রিয়া লেখেন, অনেক মানুষই তো মরে আমি মরলেই দোষ কি বা তাতে।

নিহতের ফুফু টুম্পা খাতুন জানান, তার ভাতিজি রিয়ার সঙ্গে সহপাঠী নুসরাতের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উভয় উভয়কে একদিন না দেখে থাকতে পারত না। দুই বান্ধবী ওয়াদাবদ্ধ ছিল পড়ালেখা শেষ করে একসঙ্গে বিয়ে করার। কিন্তু হঠাৎই নুসরাতকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর নুসরাত বাবার বাড়িতে আসলে রিয়া তাকে স্বামীর বাড়ি যেতে নিষেধ করে। নুসরাত তার অনুরোধ উপেক্ষা করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তারা পার্শ্ববর্তী ওয়াজ মাহফিল থেকে ফিরে এসে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বান্ধবীর বিয়ে হওয়ায় অপর বান্ধবীর আত্মহত্যা!

আপলোড সময় : ১১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বান্ধবীর বিয়ে হওয়ায় ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে অপর বান্ধবীর আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত রিয়া খাতুন (১৭) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের রাশিদুল মালিথার মেয়ে। কুমারখালী আদর্শ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।

ফেসবুক স্টাটাসে রিয়া লেখেন, অনেক মানুষই তো মরে আমি মরলেই দোষ কি বা তাতে।

নিহতের ফুফু টুম্পা খাতুন জানান, তার ভাতিজি রিয়ার সঙ্গে সহপাঠী নুসরাতের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উভয় উভয়কে একদিন না দেখে থাকতে পারত না। দুই বান্ধবী ওয়াদাবদ্ধ ছিল পড়ালেখা শেষ করে একসঙ্গে বিয়ে করার। কিন্তু হঠাৎই নুসরাতকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর নুসরাত বাবার বাড়িতে আসলে রিয়া তাকে স্বামীর বাড়ি যেতে নিষেধ করে। নুসরাত তার অনুরোধ উপেক্ষা করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তারা পার্শ্ববর্তী ওয়াজ মাহফিল থেকে ফিরে এসে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।