ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ ফুল

নেত্রকোনায় জামাল উদ্দিন, এখন নিজেই চাষ করছেন গোলাপের।

জেলায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ ফুল। অন্যের বাগানে কাজ করতেন জামাল উদ্দিন, এখন নিজেই চাষ করছেন গোলাপের। ধান চাষের পাশাপাশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ফুলের চাষ।

স্থানীয়ভাবে ফুলের দোকানিরাও বাড়তি খরচ ছাড়াই এখন নিজ এলাকা থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন গোলাপ ফুল। ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা ব্যাপক, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে ব্যবসা হবে লাখ টাকার, এমনটা আশা করছেন গোলাপ ফুলচাষী জামাল। একদিকে ধানের শীষ দুল খাচ্ছে, অন্যদিকে নানা রঙের ফুলের বাগান।

কোনটা হলুদ কোনটা লাল আবার মেজেন্ডাও। প্রতিটি গাছে যেন দুল খাচ্ছে গোলাপের কুড়ি।বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ দেখাচ্ছে এ অঞ্চলের অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা। চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এসে নিজ এলাকা নেত্রকোনায় করছেন গোলাপ চাষ। কৃষক জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে অন্যের বাগানে হাতে-কলমে কাজ করেছেন। এরপর চলে আসেন নিজ গ্রামে।

নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের পাঁচপাই গ্রামে প্রায় ৪৫ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন গোলাপের বাগান। গত ছয় বছরে গাছ লাগিয়েছেন প্রায় নয় হাজার।

এখন প্রতিদিনই বাগান থেকে সরাসরি বিক্রি করছেন এক হাজারের বেশি ফুল। জেলার শহর কিংবা বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসে ফুলের অর্ডার। এতে দোকানিদেরও প্রচুর লাভ হয়।

চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই শুধু ফুল বিক্রির আশা তার দেড় লাখ টাকার। বাগান পরিচালনা কাজে কর্মসংস্থান হয়েছে দুজনের। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গোলাপের সৌন্দর্য দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এ ফুল জেলার সদর ছাড়াও যাচ্ছে মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুরসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলায়।

কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, বছরে চারমাস ফুল ফুটে। এটিকে গোলাপের মৌসুম বলা হয়। তিনি গত ছয় বছর ধরে এ ব্যবসায় সাফল্য পেয়ে এবার বাণিজ্যকভাবে চাষ করেছেন। তার বাগান থেকেই দোকানিরা তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসসহ নানা উৎসব থাকায় বেড়েছে ফুলের চাহিদাও। বাজারে প্রতি গোলাপ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮ অথবা ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকায়।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান,”জেলায় ফুলের আবাদ একেবারেই কম, তবে এটি লাভজনক একটি পেশা। দুএকজন ফুল চাষাবাদে এগিয়ে আসছে। আমরা পরিদর্শন করে এসেছি। ধান চাষের পাশাপাশি ফুলসহ অন্যান্য ফসলে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ ফুল

আপলোড সময় : ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জেলায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ ফুল। অন্যের বাগানে কাজ করতেন জামাল উদ্দিন, এখন নিজেই চাষ করছেন গোলাপের। ধান চাষের পাশাপাশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ফুলের চাষ।

স্থানীয়ভাবে ফুলের দোকানিরাও বাড়তি খরচ ছাড়াই এখন নিজ এলাকা থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন গোলাপ ফুল। ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা ব্যাপক, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে ব্যবসা হবে লাখ টাকার, এমনটা আশা করছেন গোলাপ ফুলচাষী জামাল। একদিকে ধানের শীষ দুল খাচ্ছে, অন্যদিকে নানা রঙের ফুলের বাগান।

কোনটা হলুদ কোনটা লাল আবার মেজেন্ডাও। প্রতিটি গাছে যেন দুল খাচ্ছে গোলাপের কুড়ি।বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ দেখাচ্ছে এ অঞ্চলের অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা। চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এসে নিজ এলাকা নেত্রকোনায় করছেন গোলাপ চাষ। কৃষক জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে অন্যের বাগানে হাতে-কলমে কাজ করেছেন। এরপর চলে আসেন নিজ গ্রামে।

নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের পাঁচপাই গ্রামে প্রায় ৪৫ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন গোলাপের বাগান। গত ছয় বছরে গাছ লাগিয়েছেন প্রায় নয় হাজার।

এখন প্রতিদিনই বাগান থেকে সরাসরি বিক্রি করছেন এক হাজারের বেশি ফুল। জেলার শহর কিংবা বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসে ফুলের অর্ডার। এতে দোকানিদেরও প্রচুর লাভ হয়।

চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই শুধু ফুল বিক্রির আশা তার দেড় লাখ টাকার। বাগান পরিচালনা কাজে কর্মসংস্থান হয়েছে দুজনের। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গোলাপের সৌন্দর্য দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এ ফুল জেলার সদর ছাড়াও যাচ্ছে মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুরসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলায়।

কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, বছরে চারমাস ফুল ফুটে। এটিকে গোলাপের মৌসুম বলা হয়। তিনি গত ছয় বছর ধরে এ ব্যবসায় সাফল্য পেয়ে এবার বাণিজ্যকভাবে চাষ করেছেন। তার বাগান থেকেই দোকানিরা তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসসহ নানা উৎসব থাকায় বেড়েছে ফুলের চাহিদাও। বাজারে প্রতি গোলাপ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮ অথবা ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকায়।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান,”জেলায় ফুলের আবাদ একেবারেই কম, তবে এটি লাভজনক একটি পেশা। দুএকজন ফুল চাষাবাদে এগিয়ে আসছে। আমরা পরিদর্শন করে এসেছি। ধান চাষের পাশাপাশি ফুলসহ অন্যান্য ফসলে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।