ঢাকা , শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুঃসংবাদ

ছবি: সংগৃহীত

অতিবৃষ্টি এবং উজানের ঢলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। দেশের বন্যাপ্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিডাব্লুডিবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

এতে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সতর্কীকরণ জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।

 

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, সুরমার পানি কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ; কুশিয়ারার পানি অমলশীদ, শেওলা, শেরপুর-সিলেট ও মারকুলিতে; মনু নদীর পানি মৌলভীবাজারে; সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় ও ভুগাইয়ের নাকুগাঁওয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পাঁচ জেলার (সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, নেত্রকোণা ও শেরপুর) নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুঃসংবাদ

আপলোড সময় : ১০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

অতিবৃষ্টি এবং উজানের ঢলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। দেশের বন্যাপ্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিডাব্লুডিবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

এতে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সতর্কীকরণ জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।

 

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, সুরমার পানি কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ; কুশিয়ারার পানি অমলশীদ, শেওলা, শেরপুর-সিলেট ও মারকুলিতে; মনু নদীর পানি মৌলভীবাজারে; সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় ও ভুগাইয়ের নাকুগাঁওয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পাঁচ জেলার (সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, নেত্রকোণা ও শেরপুর) নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।