ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

ফেসবুকে শিক্ষকের কুরুচিপূর্ণ ভিডিও পোষ্ট, তুমুল সমালোচনা

অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম মিল্টন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক কলেজ শিক্ষক ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ও ছবি পোষ্ট করায় উপজেলা জুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা।অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম মিল্টন শহরের মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক।

জানা গেছে, সম্প্রতি শিক্ষক মিল্টন থাইল্যান্ডে পারিবারিক ভ্রমণে যান। সেখানে একটি সমুদ্র সৈকতে বিদেশী নারীদের আপত্তিকর ভিডিও তার নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট থেকে লাইভ চালাতে থাকেন ।নারীদের এমন নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে সম্প্রচারের পর উপজেলা জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।

ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতে থাকা বিভিন্ন দেশের নারীরা বিকিনিসহ গোসলের পোশাকে বিশ্রাম নিচ্ছেন ও অথবা গোসল করছেন। এসময় শিক্ষক মিল্টন তার মুঠোফোনের ক্যামেরা গোসল বা বিশ্রামরত নারীদের দকে ধরে লাইভ করছেন। শিক্ষকের এমন কাণ্ড জ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছেন ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, মিল্টন স্যারের এমন ভিডিওর কথা শুনে আমি নিজেই অবাক হয়েছি। আমি একজন ছাত্রীর পিতা হিসাবে লজ্জিত, কারণ আমার মেয়েকে তাদেরমত শিক্ষকের কাছে পড়াতে হয়। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করলে, শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম মিল্টন ওই ভিডিওটি ফেসবুক প্লাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলেন। তবে কুরুচিপূর্ণ ওই ভিডিওর কিছু অংশ এবং স্ক্রিন শর্ট প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ফাজলামী করেন। ফোন রাখেন।

শিক্ষকের এমন কান্দের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি আসলে ভিডিওটি দেখিনি। এমনটা ঠিক না। এটা দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজটির সভাপতি ইসরাত জাহান বলেন, আমি প্রথম শুনলাম আপনার কাছ থেকে ।আমি খোজ নিয়ে দেখবো।

উল্লেখ্য, শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম মিল্টন ২০২২ সালের মে মাসে কলেজটির গোডাউন থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৭ বস্তা মুল খাতা ও লুজ শিট চুরির মামলায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন। সে সময় সংবাদটি দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রচার করে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ফেসবুকে শিক্ষকের কুরুচিপূর্ণ ভিডিও পোষ্ট, তুমুল সমালোচনা

আপলোড সময় : ০৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক কলেজ শিক্ষক ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ও ছবি পোষ্ট করায় উপজেলা জুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা।অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম মিল্টন শহরের মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক।

জানা গেছে, সম্প্রতি শিক্ষক মিল্টন থাইল্যান্ডে পারিবারিক ভ্রমণে যান। সেখানে একটি সমুদ্র সৈকতে বিদেশী নারীদের আপত্তিকর ভিডিও তার নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট থেকে লাইভ চালাতে থাকেন ।নারীদের এমন নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে সম্প্রচারের পর উপজেলা জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।

ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতে থাকা বিভিন্ন দেশের নারীরা বিকিনিসহ গোসলের পোশাকে বিশ্রাম নিচ্ছেন ও অথবা গোসল করছেন। এসময় শিক্ষক মিল্টন তার মুঠোফোনের ক্যামেরা গোসল বা বিশ্রামরত নারীদের দকে ধরে লাইভ করছেন। শিক্ষকের এমন কাণ্ড জ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছেন ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, মিল্টন স্যারের এমন ভিডিওর কথা শুনে আমি নিজেই অবাক হয়েছি। আমি একজন ছাত্রীর পিতা হিসাবে লজ্জিত, কারণ আমার মেয়েকে তাদেরমত শিক্ষকের কাছে পড়াতে হয়। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করলে, শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম মিল্টন ওই ভিডিওটি ফেসবুক প্লাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলেন। তবে কুরুচিপূর্ণ ওই ভিডিওর কিছু অংশ এবং স্ক্রিন শর্ট প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ফাজলামী করেন। ফোন রাখেন।

শিক্ষকের এমন কান্দের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি আসলে ভিডিওটি দেখিনি। এমনটা ঠিক না। এটা দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজটির সভাপতি ইসরাত জাহান বলেন, আমি প্রথম শুনলাম আপনার কাছ থেকে ।আমি খোজ নিয়ে দেখবো।

উল্লেখ্য, শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম মিল্টন ২০২২ সালের মে মাসে কলেজটির গোডাউন থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৭ বস্তা মুল খাতা ও লুজ শিট চুরির মামলায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন। সে সময় সংবাদটি দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রচার করে।