ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

প্রাণঘাতী ব্যাকটিরিয়ার তালিকা প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রতীকী ছবি

প্রাণঘাতী ব্যাকটিরিয়ার নতুন পরিমার্জিত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি জানিয়েছে, এমন মারাত্মক প্রাণঘাতী ব্যাকটিরিয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যেগুলো প্রতিরোধে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ দিচ্ছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত গতিতে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হচ্ছে। যখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য পরজীবীর সংক্রমণ কমাতে আর কাজ দেয় না, সেই পরিস্থিতিকে বলে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’। এতে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে, রোগ সংক্রমণ বাড়তে থাকে, রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, এই পরিস্থিতি আটকাতে অবিলম্বে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধান শুরু করা প্রয়োজন। সংস্থাটি জানিয়েছে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২৪ সালের ‘ব্যাকটিরিয়াল প্রায়োরিটি প্যাথোজেনস লিস্ট’ (বিপিপিএল)-এ ১৫ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক-রেজিস্ট্যান্ট (অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ দেয় না) ব্যাকটিরিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে- সবচেয়ে বিপজ্জনক, খুব বিপজ্জনক ও মাঝারি বিপজ্জনক। এই সব বিপজ্জনক ব্যাকটিরিয়া চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সমাধানের পথ বাতলানো হয়েছে তালিকায়। যাতে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধানে সুবিধা হয়, সে কারণে ব্যাকটিরিয়া সংক্রান্ত পাওয়া যাবতীয় তথ্য ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল ইউকিকো নাকাতানি বলেন, “বিশ্বে কী পরিমাণ ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (ওষুধে কাজ দিচ্ছে না এমন) ব্যাকটিরিয়া রয়েছে, তার একটা মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যে এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে সামগ্রিক বিপর্যয় প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।”

২০১৭ সালে প্রথমবার বিপিপিএল প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার সাত বছর পরে আবারও এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করা হল।

সূত্র: ডব্লিউএইচও

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রাণঘাতী ব্যাকটিরিয়ার তালিকা প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আপলোড সময় : ০৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

প্রাণঘাতী ব্যাকটিরিয়ার নতুন পরিমার্জিত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি জানিয়েছে, এমন মারাত্মক প্রাণঘাতী ব্যাকটিরিয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যেগুলো প্রতিরোধে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ দিচ্ছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত গতিতে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হচ্ছে। যখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য পরজীবীর সংক্রমণ কমাতে আর কাজ দেয় না, সেই পরিস্থিতিকে বলে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’। এতে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে, রোগ সংক্রমণ বাড়তে থাকে, রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, এই পরিস্থিতি আটকাতে অবিলম্বে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধান শুরু করা প্রয়োজন। সংস্থাটি জানিয়েছে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২৪ সালের ‘ব্যাকটিরিয়াল প্রায়োরিটি প্যাথোজেনস লিস্ট’ (বিপিপিএল)-এ ১৫ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক-রেজিস্ট্যান্ট (অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ দেয় না) ব্যাকটিরিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে- সবচেয়ে বিপজ্জনক, খুব বিপজ্জনক ও মাঝারি বিপজ্জনক। এই সব বিপজ্জনক ব্যাকটিরিয়া চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সমাধানের পথ বাতলানো হয়েছে তালিকায়। যাতে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধানে সুবিধা হয়, সে কারণে ব্যাকটিরিয়া সংক্রান্ত পাওয়া যাবতীয় তথ্য ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর-জেনারেল ইউকিকো নাকাতানি বলেন, “বিশ্বে কী পরিমাণ ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (ওষুধে কাজ দিচ্ছে না এমন) ব্যাকটিরিয়া রয়েছে, তার একটা মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যে এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে সামগ্রিক বিপর্যয় প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।”

২০১৭ সালে প্রথমবার বিপিপিএল প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার সাত বছর পরে আবারও এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করা হল।

সূত্র: ডব্লিউএইচও