ঢাকা , শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

প্রশ্ন জালিয়াত চক্রের ৩৭ জন আটক

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহার করে অসৎ উপায় অবলম্বন করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ৩২ জন পরীক্ষার্থী ও ৫ জন মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩ সদস্যরা।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) র‌্যাব-১৩ রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার আরাফাত ইসলাম প্রেস বিফিংএ জানান, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার সময় একটি চক্র সত্রিয় হয়। যারা জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁস করে। এই নিয়োগ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কাজে এবং সামগ্রিক পরীক্ষার পদ্ধতিকে দুর্বল করার অভিপ্রায়ে জালিয়াতের একটা সুযোগ নিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে।

 

শুক্রবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে নিয়ে র‌্যাব সদর দপ্তর, ইনটেলিজেন্স উইং এবং র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধার সিপিসি-৩ বৃহস্পতিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে যে, গাইবান্ধায় একটি জালিয়াতি চক্রের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করে গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। পরীক্ষা শুরুর পর সকাল ১০টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত র‌্যাব সদস্যরা বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে।

 

গাইবান্ধায় প্রশ্ন জালিয়াত চক্রের ৩৭ জন আটক

 

অভিযান পরিচালনার সময় জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগসহ ৫ জন প্রতারক ও ৩২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এরমধ্যে ২৪ জন নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪টি মাস্টার কার্ড, ২০ টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ১৭টি মোবাইল, স্বাক্ষরসহ সাদা (ব্লাঙ্ক) চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয় হয়েছে।

 

র‌্যাব-১৩ রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগ বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪ থেকে ১৮ লক্ষ টাকায় চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিল। সোহেল ডিভাইস সংগ্রহ ও বিতরণ করেন, নজরুল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন এবং মারুফ ও মুন্না বাহির থেকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করেন। পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জালিয়াতি চক্রের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। পাশাপাশি আটককৃতদের নামে মামলা করে গাইবান্ধা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রশ্ন জালিয়াত চক্রের ৩৭ জন আটক

আপলোড সময় : ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহার করে অসৎ উপায় অবলম্বন করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ৩২ জন পরীক্ষার্থী ও ৫ জন মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩ সদস্যরা।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) র‌্যাব-১৩ রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার আরাফাত ইসলাম প্রেস বিফিংএ জানান, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার সময় একটি চক্র সত্রিয় হয়। যারা জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁস করে। এই নিয়োগ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কাজে এবং সামগ্রিক পরীক্ষার পদ্ধতিকে দুর্বল করার অভিপ্রায়ে জালিয়াতের একটা সুযোগ নিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে।

 

শুক্রবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে নিয়ে র‌্যাব সদর দপ্তর, ইনটেলিজেন্স উইং এবং র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধার সিপিসি-৩ বৃহস্পতিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে যে, গাইবান্ধায় একটি জালিয়াতি চক্রের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করে গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। পরীক্ষা শুরুর পর সকাল ১০টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত র‌্যাব সদস্যরা বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে।

 

গাইবান্ধায় প্রশ্ন জালিয়াত চক্রের ৩৭ জন আটক

 

অভিযান পরিচালনার সময় জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগসহ ৫ জন প্রতারক ও ৩২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এরমধ্যে ২৪ জন নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪টি মাস্টার কার্ড, ২০ টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ১৭টি মোবাইল, স্বাক্ষরসহ সাদা (ব্লাঙ্ক) চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয় হয়েছে।

 

র‌্যাব-১৩ রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগ বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪ থেকে ১৮ লক্ষ টাকায় চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিল। সোহেল ডিভাইস সংগ্রহ ও বিতরণ করেন, নজরুল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন এবং মারুফ ও মুন্না বাহির থেকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করেন। পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জালিয়াতি চক্রের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। পাশাপাশি আটককৃতদের নামে মামলা করে গাইবান্ধা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।