ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শ্বশুরের যাবজ্জীবন

পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের গর্জনবুনিয়া গ্রামের মৃত আদম আলী হাওলাদারের ছেলে মো. সেরাজ হাওলাদার (৫০)। রায় ঘোষণার সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, পুত্রবধূ বরগুনা সদর থানায় ২০০৭ সালের ২৪ মে শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন- ওই বছর ১৯ মে শ্বশুরের ঘরের দোতলায় রাত ১২টায় ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এই ফাঁকে শ্বশুর গোপনে দোতলায় উঠে তাকে মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পুত্রবধূ ডাকচিৎকার দিলে শ্বশুর খুনের ভয় দেখান।

পর দিন পুত্রবধূ তার চাচি শাশুড়ি, স্বামী, প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলামসহ অনেকের কাছে ঘটনা বলেন। বরগুনা থানা পুলিশ বাদীর মামলা রেকর্ড করে তদন্তের জন্য এসআই মো. মোস্তফার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীসহ ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি আশ্রাফুল আলম যুগান্তরকে বলেন, আসামি ভবঘুরে। ২০০৭ সাল হতে পলাতক ছিল। চার মাস আগে গ্রেফতার হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, আসামি পলাতক থাকায় সাক্ষ্যদের জেরা করা যায়নি। যার কারণে এক তরফা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুত্রবধূ শ্বশুরকে সেবাযত্ন ও রান্না করে খাওয়াবে না। এ কারণে অসত্য তথ্য দিয়ে মামলা করেছে পুত্রবধূ। উচ্চ আদালতে আপিল করার অর্থ আসামির নেই।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শ্বশুরের যাবজ্জীবন

আপলোড সময় : ১১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের গর্জনবুনিয়া গ্রামের মৃত আদম আলী হাওলাদারের ছেলে মো. সেরাজ হাওলাদার (৫০)। রায় ঘোষণার সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, পুত্রবধূ বরগুনা সদর থানায় ২০০৭ সালের ২৪ মে শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন- ওই বছর ১৯ মে শ্বশুরের ঘরের দোতলায় রাত ১২টায় ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এই ফাঁকে শ্বশুর গোপনে দোতলায় উঠে তাকে মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পুত্রবধূ ডাকচিৎকার দিলে শ্বশুর খুনের ভয় দেখান।

পর দিন পুত্রবধূ তার চাচি শাশুড়ি, স্বামী, প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলামসহ অনেকের কাছে ঘটনা বলেন। বরগুনা থানা পুলিশ বাদীর মামলা রেকর্ড করে তদন্তের জন্য এসআই মো. মোস্তফার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীসহ ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি আশ্রাফুল আলম যুগান্তরকে বলেন, আসামি ভবঘুরে। ২০০৭ সাল হতে পলাতক ছিল। চার মাস আগে গ্রেফতার হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, আসামি পলাতক থাকায় সাক্ষ্যদের জেরা করা যায়নি। যার কারণে এক তরফা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুত্রবধূ শ্বশুরকে সেবাযত্ন ও রান্না করে খাওয়াবে না। এ কারণে অসত্য তথ্য দিয়ে মামলা করেছে পুত্রবধূ। উচ্চ আদালতে আপিল করার অর্থ আসামির নেই।