
পলাতক থাকায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আওয়াল কবিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আওয়াল কবির পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত গত ৭/১১/২০২৪ খ্রি. হতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, বিভাগীয় আদেশ অমান্যকরণ এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালি ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে অসঙ্গত আচরণ,ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইন সঙ্গত আদেশ অমান্যকরণ,কর্তব্য অবহেলা প্রদর্শনজনিত কার্য সংগঠন এবং পলায়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তার এহেন আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ)(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে প্রেক্ষিতে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে বিবেচিত হওয়ায় এতদ্বারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ড. মো. আওয়াল কবিরকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়াল কবির বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তিনি তৎকালীন প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তিন মাসের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেন। নতুন প্রশাসন আসার পরে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি চাইলে সেটা দেওয়া হয়নি। গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। তাকে কর্মস্থলে আসার জন্য প্রশাসন থেকে বলা হলেও তিনি প্রশাসনিক আদেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। প্রথমে তিনি অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন। এরপর তাকে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ক্লাস নিতে বলা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। এজন্য তাকে আমরা সাময়িক বরখাস্ত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আসতে বলবেন। তিনি যদি না আসেন তাহলে পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি স্থায়ী বরখাস্ত হতে পারেন।
আওয়াল কবির ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।