ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

পাতাল রেলের ডিপো নির্মাণের জন্য চুক্তি সই

আসছে জুনেই নির্মাণ শুরু হবে দেশের প্রথম পাতাল রেলের। এর ডিপো নির্মাণের জন্য দেশি-বিদেশি দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও সই হয়েছে বলে জানান মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দীক। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে বনানীতে হোটেল শেরাটনে এ চুক্তি সই হয়।

এদিকে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মেট্রো রেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। পাতাল রেল প্রকল্পটিকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে ডিপো নির্মাণের কাজ নতুন বছরের প্রথমেই শুরু হবে।

ডিপো নির্মাণে জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাসট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে ডিএমটিসিএলের চুক্তি সই হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, দেশের প্রথম পাতাল রেল মাটির ৩০ থেকে ৭০ মিটার নিচ দিয়ে যাবে। যা কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না। শুধু স্টেশন ওপেন কাট পদ্ধতিতে করা হবে বলে জানান তিনি।

চুক্তিপত্র থেকে জানা গেছে, ভূমি উন্নয়ন কাজের পদ্ধতি ও বাস্তবায়নকালের ওপর ভিত্তি করে পুরো এলাকাকে মোট ছটি জোনে বিভক্ত করা হবে। এ কাজে স্ট্যাটিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, ডায়নামিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল ও প্রিফেব্রিকেটেড ভার্টিক্যাল ড্রেইনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এ এলাকায় কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-২-এর আওতায় ডিপোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এমআরটি লাইন-১-এর বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুটে চলাচলকারী সব মেট্রো ট্রেন এ ডিপোর সুবিধাগুলো ব্যবহার করবে।

ভূমির চুক্তি মূল্য ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং ৫২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়ক প্রতিষ্ঠান জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে নেয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৯১০ দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমআরটি লাইন-১-এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন-আল রশিদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহাইড।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাতাল রেলের ডিপো নির্মাণের জন্য চুক্তি সই

আপলোড সময় : ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

আসছে জুনেই নির্মাণ শুরু হবে দেশের প্রথম পাতাল রেলের। এর ডিপো নির্মাণের জন্য দেশি-বিদেশি দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও সই হয়েছে বলে জানান মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দীক। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে বনানীতে হোটেল শেরাটনে এ চুক্তি সই হয়।

এদিকে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মেট্রো রেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। পাতাল রেল প্রকল্পটিকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে ডিপো নির্মাণের কাজ নতুন বছরের প্রথমেই শুরু হবে।

ডিপো নির্মাণে জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাসট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে ডিএমটিসিএলের চুক্তি সই হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, দেশের প্রথম পাতাল রেল মাটির ৩০ থেকে ৭০ মিটার নিচ দিয়ে যাবে। যা কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না। শুধু স্টেশন ওপেন কাট পদ্ধতিতে করা হবে বলে জানান তিনি।

চুক্তিপত্র থেকে জানা গেছে, ভূমি উন্নয়ন কাজের পদ্ধতি ও বাস্তবায়নকালের ওপর ভিত্তি করে পুরো এলাকাকে মোট ছটি জোনে বিভক্ত করা হবে। এ কাজে স্ট্যাটিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, ডায়নামিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল ও প্রিফেব্রিকেটেড ভার্টিক্যাল ড্রেইনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এ এলাকায় কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-২-এর আওতায় ডিপোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এমআরটি লাইন-১-এর বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুটে চলাচলকারী সব মেট্রো ট্রেন এ ডিপোর সুবিধাগুলো ব্যবহার করবে।

ভূমির চুক্তি মূল্য ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং ৫২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়ক প্রতিষ্ঠান জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে নেয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৯১০ দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমআরটি লাইন-১-এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন-আল রশিদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহাইড।