ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

পবিত্র শবে বরাত: আত্মশুদ্ধি ও ক্ষমার মহিমান্বিত রজনী

  • হান্ডিয়াল নিউজ
  • আপলোড সময় : ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে।

আজ পবিত্র শবে বরাত, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক মহিমান্বিত ও তাৎপর্যপূর্ণ রজনী। শবে বরাত অর্থ ‘মুক্তির রজনী’। বিশ্বাস করা হয়, এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন, তাকদির নির্ধারণ করেন এবং রহমতের দরজা উন্মুক্ত করেন। তাই এ রাত আত্মশুদ্ধি, ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।

বিশ্ব মুসলিম সমাজে শবে বরাত বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে নফল নামাজ আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া-ইস্তেগফার ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভের চেষ্টা করেন। অনেকে এ রাতে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের জন্য দোয়া করেন এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

 

ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, শবে বরাত আত্মশুদ্ধির একটি মাধ্যম। এ রাত আমাদের মনে করিয়ে দেয়, গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার সংকল্প গ্রহণের সুযোগ। তবুও, এ রাতকে ঘিরে কুসংস্কার ও অতিরঞ্জিত রীতিনীতির চর্চা পরিহার করা জরুরি। প্রকৃত ইসলামী আদর্শ হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পরিশুদ্ধ অন্তরে ইবাদত করা এবং মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করা।

 

এই রাত আমাদের শিক্ষা দেয় পারস্পরিক ক্ষমা ও সহমর্মিতার গুরুত্ব। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যদি আমরা পরস্পরকে ক্ষমা করতে পারি, তাহলে আমাদের সমাজ হবে আরও মানবিক ও সহানুভূতিশীল।

 

আমরা প্রার্থনা করি, মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করেন, আমাদের জীবনে শান্তি, কল্যাণ ও বরকত দান করেন। পবিত্র শবে বরাত সবার জন্য হয়ে উঠুক আত্মশুদ্ধি ও মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের এক অনন্য সুযোগ।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পবিত্র শবে বরাত: আত্মশুদ্ধি ও ক্ষমার মহিমান্বিত রজনী

আপলোড সময় : ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আজ পবিত্র শবে বরাত, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক মহিমান্বিত ও তাৎপর্যপূর্ণ রজনী। শবে বরাত অর্থ ‘মুক্তির রজনী’। বিশ্বাস করা হয়, এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন, তাকদির নির্ধারণ করেন এবং রহমতের দরজা উন্মুক্ত করেন। তাই এ রাত আত্মশুদ্ধি, ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।

বিশ্ব মুসলিম সমাজে শবে বরাত বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে নফল নামাজ আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া-ইস্তেগফার ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভের চেষ্টা করেন। অনেকে এ রাতে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের জন্য দোয়া করেন এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

 

ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, শবে বরাত আত্মশুদ্ধির একটি মাধ্যম। এ রাত আমাদের মনে করিয়ে দেয়, গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার সংকল্প গ্রহণের সুযোগ। তবুও, এ রাতকে ঘিরে কুসংস্কার ও অতিরঞ্জিত রীতিনীতির চর্চা পরিহার করা জরুরি। প্রকৃত ইসলামী আদর্শ হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পরিশুদ্ধ অন্তরে ইবাদত করা এবং মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করা।

 

এই রাত আমাদের শিক্ষা দেয় পারস্পরিক ক্ষমা ও সহমর্মিতার গুরুত্ব। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যদি আমরা পরস্পরকে ক্ষমা করতে পারি, তাহলে আমাদের সমাজ হবে আরও মানবিক ও সহানুভূতিশীল।

 

আমরা প্রার্থনা করি, মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করেন, আমাদের জীবনে শান্তি, কল্যাণ ও বরকত দান করেন। পবিত্র শবে বরাত সবার জন্য হয়ে উঠুক আত্মশুদ্ধি ও মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের এক অনন্য সুযোগ।