
দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনের খবরের পাতায় এ ধরনের বর্বরতার চিত্র উঠে আসছে, যা সমাজের জন্য লজ্জাজনক ও গভীর উদ্বেগের বিষয়। নারীরা ঘরে-বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, যা সভ্য সমাজের জন্য এক অশনি সংকেত।
ধর্ষণের ঘটনা শুধু ব্যক্তি বা পরিবারের ক্ষতি করে না; এটি সামগ্রিকভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, দীর্ঘসূত্রতা ও অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় অনেকাংশে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা দরকার, যাতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে রায় দেওয়া হয়। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।
তবে শুধু কঠোর আইন ও শাস্তি যথেষ্ট নয়। সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার জন্য পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রচেষ্টা নিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে, যেন ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পান।
এখন সময় এসেছে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দাঁড়ানোর। রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি—সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায়ই কেবল এ ভয়াবহতা রোধ করা সম্ভব। কঠোর আইন, দ্রুত বিচার ও সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে নারীদের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।