ঢাকা , শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

ধান মজুতকারী আমার বাবা হলেও ছাড় নয়

ছবি : সংগৃহীত

মিল মালিক হয়েও যদি কেউ ধান মজুত করে তাহলে ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই, আমার বাবা হলেও নেই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ধান-চালের বাজার ঊর্ধ্বগতি রোধে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যারা হাজার হাজার মণ ধান আড়তদারির নাম করে বিনা লাইসেন্সে স্টক করছেন, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আপনি মিল মালিক হয়েও যদি আপনার কাছে ধান মজুত থাকে তাহলে আপনাকেও ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আমার বাবা হলেও উপায় নেই।

 

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপারেশনে আছে। ব্যবসায়িক সূত্র বা ইকোনমিক্স থিওরিতে বলে, যখন চাহিদা বেশি হয় তখন দাম বাড়ে, সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়ে। আমি তো এই মুহূর্তে সরবরাহ কমের কোনো অবস্থা দেখছি না। প্রচুর ধান আছে। সরবরাহ যাতে না কমে যায় এর জন্য আমরা ইতোমধ্যে ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়ে আমদানি করার চেষ্টা করছি। আমাদের ফাইল প্রসেসে আছে। হয়তো আমরা এটা কিছুদিনের মধ্যে ফাইনাল করব। কারণ অযথা স্টক করে রেখে পরে আবার বলবেন, আমরা মরে গেলাম, মরে গেলাম। এ কথা যেন না শুনি।

 

তিনি আরও বলেন, একদিকে অভিযান, আরেকদিকে আপনাদের বিবেক, আরেকদিকে আমাদের আমদানি পদ্ধতি। প্রয়োজনে সরকারিভাবে আমদানি করব। দরকার হলে আমরা ওএমএস থানায় থানায় ছেড়ে দেব কিন্তু বাজার বাড়তে দেওয়া যাবে না।’

 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আপনারা আমার সঙ্গে একমত হলে হাত উঠান। এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা হাত উঠিয়ে বলেন, একমত।’ পরে মন্ত্রী বলেন, তাহলে কাল থেকে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমি কিন্তু আবার নতুন করে যাত্রা শুরু করলাম।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধান মজুতকারী আমার বাবা হলেও ছাড় নয়

আপলোড সময় : ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

মিল মালিক হয়েও যদি কেউ ধান মজুত করে তাহলে ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই, আমার বাবা হলেও নেই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ধান-চালের বাজার ঊর্ধ্বগতি রোধে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যারা হাজার হাজার মণ ধান আড়তদারির নাম করে বিনা লাইসেন্সে স্টক করছেন, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আপনি মিল মালিক হয়েও যদি আপনার কাছে ধান মজুত থাকে তাহলে আপনাকেও ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আমার বাবা হলেও উপায় নেই।

 

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপারেশনে আছে। ব্যবসায়িক সূত্র বা ইকোনমিক্স থিওরিতে বলে, যখন চাহিদা বেশি হয় তখন দাম বাড়ে, সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়ে। আমি তো এই মুহূর্তে সরবরাহ কমের কোনো অবস্থা দেখছি না। প্রচুর ধান আছে। সরবরাহ যাতে না কমে যায় এর জন্য আমরা ইতোমধ্যে ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়ে আমদানি করার চেষ্টা করছি। আমাদের ফাইল প্রসেসে আছে। হয়তো আমরা এটা কিছুদিনের মধ্যে ফাইনাল করব। কারণ অযথা স্টক করে রেখে পরে আবার বলবেন, আমরা মরে গেলাম, মরে গেলাম। এ কথা যেন না শুনি।

 

তিনি আরও বলেন, একদিকে অভিযান, আরেকদিকে আপনাদের বিবেক, আরেকদিকে আমাদের আমদানি পদ্ধতি। প্রয়োজনে সরকারিভাবে আমদানি করব। দরকার হলে আমরা ওএমএস থানায় থানায় ছেড়ে দেব কিন্তু বাজার বাড়তে দেওয়া যাবে না।’

 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আপনারা আমার সঙ্গে একমত হলে হাত উঠান। এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা হাত উঠিয়ে বলেন, একমত।’ পরে মন্ত্রী বলেন, তাহলে কাল থেকে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমি কিন্তু আবার নতুন করে যাত্রা শুরু করলাম।