ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন

দেশের সর্বপ্রথম জাতীয় ও ছয়লেনের এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নাম- ‘ঢাকা–মাওয়া–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে’।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’ রাখা হয়। তবে প্রথম থেকে এটি ‘ঢাকা–মাওয়া–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে’ নামেই পরিচিতি পেয়ে আসছিলো।

২০২২ সালে সরকারিভাবে এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’ লেখা হয়।

২০২৪ সালে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পরে এলাকাবাসী এক্সপ্রেসওয়ের সরকারি নামফলক ভেঙ্গে ‘জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এক্সপ্রেসওয়ে’ নামে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ি থেকে শুরু হয়ে মুন্সিগঞ্জের ৩টি উপজেলা (সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও লৌহজং) অতিক্রম করেছে এক্সপ্রেসওয়েটি। যা শেষ হয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায়।

পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারের এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ১১ হাজার ৪ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (পশ্চিম) সড়কটি নির্মাণ করে। মূল এক্সপ্রেসওয়েটি চার লেনের। সেতুর দুই পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য সাড়ে পাঁচ মিটার প্রশস্ত সড়ক রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে দুটি সার্ভিস লেন, ৫টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, ২টি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, ৪টি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু এবং ৫৪টি কালভার্ট রয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ শেষ হওয়ার পর, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এক্সপ্রেসওয়ের দুপাশ সংযুক্ত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন

আপলোড সময় : ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

দেশের সর্বপ্রথম জাতীয় ও ছয়লেনের এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নাম- ‘ঢাকা–মাওয়া–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে’।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’ রাখা হয়। তবে প্রথম থেকে এটি ‘ঢাকা–মাওয়া–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে’ নামেই পরিচিতি পেয়ে আসছিলো।

২০২২ সালে সরকারিভাবে এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’ লেখা হয়।

২০২৪ সালে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পরে এলাকাবাসী এক্সপ্রেসওয়ের সরকারি নামফলক ভেঙ্গে ‘জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এক্সপ্রেসওয়ে’ নামে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ি থেকে শুরু হয়ে মুন্সিগঞ্জের ৩টি উপজেলা (সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও লৌহজং) অতিক্রম করেছে এক্সপ্রেসওয়েটি। যা শেষ হয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায়।

পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারের এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ১১ হাজার ৪ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (পশ্চিম) সড়কটি নির্মাণ করে। মূল এক্সপ্রেসওয়েটি চার লেনের। সেতুর দুই পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য সাড়ে পাঁচ মিটার প্রশস্ত সড়ক রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে দুটি সার্ভিস লেন, ৫টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, ২টি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, ৪টি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু এবং ৫৪টি কালভার্ট রয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ শেষ হওয়ার পর, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এক্সপ্রেসওয়ের দুপাশ সংযুক্ত হয়েছে।