ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রী ছুঁয়েছে,বইছে তাপপ্রবাহ

নববর্ষের দিন থেকেই ফের ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। পারদের কাটা তীব্র তাপপ্রবাহের ছুঁই ছুঁই করছে। সোমবার ( ১৫ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছে। আর পহেলা বৈশাখে ছিল ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এরআগে এপ্রিলের প্রথম দিনে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ৩৯ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছিল। পরে ৬ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস স্পর্শ করে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিলের পর তাপমাত্রা ক্রমশ: নিম্নমূখি হতে থাকে। ৮ এপ্রিল ৩০.৫ ডিগ্রী এবং ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ৩২.৮ ডিগ্রী রেকর্ড হয়। ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা ফের উর্দ্ধমূখী হতে থাকে। গত শুক্রবার ১২ এপ্রিল ৩৬.৭ ডিগ্রী, শনিবার ১৩ এপ্রিল ৩৮.৫ ডিগ্রী এবং রবিবার ৩৯ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছে। তাপপ্রবাহ সাথে নিয়েই নতুন বছরের আগমন ঘটেছে।

পহেলা বৈশাখের দিন থেকে তীব্র রোদ ও অসহনীয় গরমের সাথে ভয়াবহ তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। রোদের প্রখরতা আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদে ঘাম ঝড়ানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে ঝাপাঝাপি করতে দেখা গেছে। তীব্র খরায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে উপজেলা জুড়ে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পৌরসভার পানি বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী প্রবীর বিশ্বাস বলেন, সাপ্লাই লাইনে পানি সরবরাহের জন্য সবকটি মেশিন চালিয়েও পানি সরবরাহ করতে কষ্ট হচ্ছে। খরা মৌসুমের শুরুতেই এবারে ভূগর্ভস্ত পানির স্তর অনেক নীচে নেমে গেছে।

গরমের তীব্রতায় বয়স্ক ও শিশুরা পড়েছে বেশি ভোগান্তিতে। পানিশূন্যতায়ও অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। তীব্র রোদ ও অসহনীয় গরমে রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোকসমাগম কমে গেছে। জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের প্রখরতায় রাস্তার পিচ তপ্ত উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় পারদের কাঁটা মাঝারি তাপপ্রবাহর নিম্নতম সীমা অতিক্রম করে তীব্র তাপপ্রবাহের কাটা ছুঁই ছুঁই করছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ৩৯ ডিগ্রী রেকর্ডের পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেড়ে ৩৯.৫ ডিগ্রী হয়েছে। এরআগে গত ১ এপ্রিল ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ মাত্রা ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং শনিবার ৬ এপ্রিল ৪০ ডিগ্রীতে ওঠেছিল। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রী ছুঁয়েছে,বইছে তাপপ্রবাহ

আপলোড সময় : ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

নববর্ষের দিন থেকেই ফের ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। পারদের কাটা তীব্র তাপপ্রবাহের ছুঁই ছুঁই করছে। সোমবার ( ১৫ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছে। আর পহেলা বৈশাখে ছিল ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এরআগে এপ্রিলের প্রথম দিনে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ৩৯ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছিল। পরে ৬ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস স্পর্শ করে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিলের পর তাপমাত্রা ক্রমশ: নিম্নমূখি হতে থাকে। ৮ এপ্রিল ৩০.৫ ডিগ্রী এবং ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ৩২.৮ ডিগ্রী রেকর্ড হয়। ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা ফের উর্দ্ধমূখী হতে থাকে। গত শুক্রবার ১২ এপ্রিল ৩৬.৭ ডিগ্রী, শনিবার ১৩ এপ্রিল ৩৮.৫ ডিগ্রী এবং রবিবার ৩৯ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছে। তাপপ্রবাহ সাথে নিয়েই নতুন বছরের আগমন ঘটেছে।

পহেলা বৈশাখের দিন থেকে তীব্র রোদ ও অসহনীয় গরমের সাথে ভয়াবহ তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। রোদের প্রখরতা আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদে ঘাম ঝড়ানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে ঝাপাঝাপি করতে দেখা গেছে। তীব্র খরায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে উপজেলা জুড়ে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পৌরসভার পানি বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী প্রবীর বিশ্বাস বলেন, সাপ্লাই লাইনে পানি সরবরাহের জন্য সবকটি মেশিন চালিয়েও পানি সরবরাহ করতে কষ্ট হচ্ছে। খরা মৌসুমের শুরুতেই এবারে ভূগর্ভস্ত পানির স্তর অনেক নীচে নেমে গেছে।

গরমের তীব্রতায় বয়স্ক ও শিশুরা পড়েছে বেশি ভোগান্তিতে। পানিশূন্যতায়ও অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। তীব্র রোদ ও অসহনীয় গরমে রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোকসমাগম কমে গেছে। জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের প্রখরতায় রাস্তার পিচ তপ্ত উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় পারদের কাঁটা মাঝারি তাপপ্রবাহর নিম্নতম সীমা অতিক্রম করে তীব্র তাপপ্রবাহের কাটা ছুঁই ছুঁই করছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ৩৯ ডিগ্রী রেকর্ডের পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেড়ে ৩৯.৫ ডিগ্রী হয়েছে। এরআগে গত ১ এপ্রিল ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ মাত্রা ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং শনিবার ৬ এপ্রিল ৪০ ডিগ্রীতে ওঠেছিল। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।