ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

ঠাকুরগাঁওয়ে কোটি টাকার বাঁশের বাজার

নির্মাণকাজের সহায়ক উপাদান হিসেবে বহুল ব্যবহৃত ঠাকুরগাঁওয়ের বাঁশ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে। জেলার হরিপুরের আমগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত যাদুরানী বাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মেলে বাহারি রকমের বাঁশের সমাহার।

এখানে মাসে প্রায় ১ কোটি টাকার বাঁশ কেনাবেচা হয় বলে জানিয়েছেন বেপারিরা। জেলার পতিত ও কম ফলনশীল কৃষি জমিতে বাঁশের ভালো ফলন হওয়ায় এবং স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় বাঁশ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকেরা।

উওরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাঁশের হাট বসে এই যাদুরানী বাজারে। তল্লা, উলকো, মকলা, বড় বাশা নামের বাহারি সব নামের বাঁশ পাওয়া যায় এ হাটে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেউ বাঁশ কিনতে ব্যস্ত, কেউবা ভ্যানে সাজাচ্ছে, কেউ কেউ আঁটি বেঁধে গাড়িতে তোলার কাজ করছেন। প্রতিদিন ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের বা জাতের বাঁশ নিয়ে বাজারে আসেন। ঢাকা, দিনাজপুর, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার ক্রেতারা এখানে বাঁশ কিনতে আসেন।

এখানে বাঁশের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতারা খুশি। হরিপুর উপজেলার শিয়াল্লড় গ্রামের এনামুল কালবেলাকে বলেন, আমি প্রায় ১০ বছর ধলে এ বাঁশের ব্যবসা করে আসছি। যাদুরানী দেশের অন্যতম বড় বাঁশের হাট। আকার ভেদে প্রতিটি বাঁশ দেড়শ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বেচাকেনা হয়। প্রতি মাসে এখান থেকে প্রায় ১ কোটি থেকে দেড় কোটি টাকার বাঁশ বিক্রি হয়।

২ নং আমগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিবর রহমান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, যাদুরানী বাজারের বাশেঁর হাট একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ হাট থেকে ক্রেতারা স্বল্পমূল্যে বাঁশ নিতে পারেন। এখানে প্রতি সপ্তাহে প্রচুর বাঁশ আমদানি হয়। আমরা চেষ্টা করছি এ বাজারটি সম্প্রসারণের।

বাশঁ চাষে জড়িত কয়েকজন কালবেলাকে জানান, এটি লাগানো ও পরিচর্যায় তেমন কোনো খরচ নেই বললেই চলে। একবার বাঁশের চারা লাগালে চার থেকে পাঁচ বছর পর তা থেকে আয় করা যায়। প্রতিটি মাঝারি ঝাড় থেকে বছরে ৫০-৬০টি বাঁশ পাওয়া যায়।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ঠাকুরগাঁওয়ে কোটি টাকার বাঁশের বাজার

আপলোড সময় : ১২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

নির্মাণকাজের সহায়ক উপাদান হিসেবে বহুল ব্যবহৃত ঠাকুরগাঁওয়ের বাঁশ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে। জেলার হরিপুরের আমগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত যাদুরানী বাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মেলে বাহারি রকমের বাঁশের সমাহার।

এখানে মাসে প্রায় ১ কোটি টাকার বাঁশ কেনাবেচা হয় বলে জানিয়েছেন বেপারিরা। জেলার পতিত ও কম ফলনশীল কৃষি জমিতে বাঁশের ভালো ফলন হওয়ায় এবং স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় বাঁশ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকেরা।

উওরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাঁশের হাট বসে এই যাদুরানী বাজারে। তল্লা, উলকো, মকলা, বড় বাশা নামের বাহারি সব নামের বাঁশ পাওয়া যায় এ হাটে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেউ বাঁশ কিনতে ব্যস্ত, কেউবা ভ্যানে সাজাচ্ছে, কেউ কেউ আঁটি বেঁধে গাড়িতে তোলার কাজ করছেন। প্রতিদিন ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের বা জাতের বাঁশ নিয়ে বাজারে আসেন। ঢাকা, দিনাজপুর, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার ক্রেতারা এখানে বাঁশ কিনতে আসেন।

এখানে বাঁশের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতারা খুশি। হরিপুর উপজেলার শিয়াল্লড় গ্রামের এনামুল কালবেলাকে বলেন, আমি প্রায় ১০ বছর ধলে এ বাঁশের ব্যবসা করে আসছি। যাদুরানী দেশের অন্যতম বড় বাঁশের হাট। আকার ভেদে প্রতিটি বাঁশ দেড়শ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বেচাকেনা হয়। প্রতি মাসে এখান থেকে প্রায় ১ কোটি থেকে দেড় কোটি টাকার বাঁশ বিক্রি হয়।

২ নং আমগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিবর রহমান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, যাদুরানী বাজারের বাশেঁর হাট একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ হাট থেকে ক্রেতারা স্বল্পমূল্যে বাঁশ নিতে পারেন। এখানে প্রতি সপ্তাহে প্রচুর বাঁশ আমদানি হয়। আমরা চেষ্টা করছি এ বাজারটি সম্প্রসারণের।

বাশঁ চাষে জড়িত কয়েকজন কালবেলাকে জানান, এটি লাগানো ও পরিচর্যায় তেমন কোনো খরচ নেই বললেই চলে। একবার বাঁশের চারা লাগালে চার থেকে পাঁচ বছর পর তা থেকে আয় করা যায়। প্রতিটি মাঝারি ঝাড় থেকে বছরে ৫০-৬০টি বাঁশ পাওয়া যায়।