ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

টিউলিপের ওপর এবার পার্লামেন্ট ছাড়ার চাপ

ফাইল ছবি

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিরোধীদের ব্যাপক চাপের মুখে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুর্নীতিবিরোধী ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। এবার এমপি পদ থেকেও সরে যাওয়ার চাপ এসে ভর করেছে তার ওপর।

 

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে এ তথ্য।

 

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি। আগামীকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পিটিশনের মাধ্যমে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের মুখোমুখি হওয়ার দাবি জানানো হবে।

 

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল তছরুপ করেছেন। এছাড়া খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে লন্ডনের কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য মন্ত্রীত্ব ছাড়ার আগেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রীদের নৈতিকতা পর্যালোচনা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে লরি ম্যাগনাস জানান, টিউলিপের বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং আর্থিক অনিয়মের কোনো প্রমাণও নেই।

 

পরবর্তীতে টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লিখেন, আপনার পদত্যাগ গ্রহণ করতে গিয়ে আমি স্পষ্ট করতে চাই যে, স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং আপনার আর্থিক অনিয়মের কোনো প্রমাণও নেই। স্বাধীন উপদেষ্টার কাছে নিজেকে সমর্পণ করায় এবং সত্য উদ্ঘাটনে পুরোপুরি সহযোগিতা করার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ব্রিটেনকে পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে চলমান বিভ্রান্তি দূর করার জন্য আপনি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি আমি উপলব্ধি করি এবং আপনার জন্য ভবিষ্যতে দরজা সব সময় খোলা রয়েছে, তা স্পষ্ট করতে চাই।

 

এ নিয়ে পরে পার্লামেন্টে বিরোধীদলের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়েছে কিয়ার স্টারমারকে।

 

এদিকে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে কনজারভেটিভ পার্টি। আগামীকাল সোমবার এক পিটিশনের মাধ্যমে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের মুখোমুখি হওয়ার দাবি জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।

 

ইতোমধ্যে এ বিষয়ে টিউলিপের আসনে লিফলেট বিতরণ করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। কিছু লিফলেটে টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্যামডেনের জ্যেষ্ঠে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডেভিড ডগলাস মন্তব্য করেছেন, সবাই যেমন ধারণা করেন, টিউলিপ তেমন ভদ্র মেয়ে নন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

টিউলিপের ওপর এবার পার্লামেন্ট ছাড়ার চাপ

আপলোড সময় : ১০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিরোধীদের ব্যাপক চাপের মুখে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুর্নীতিবিরোধী ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। এবার এমপি পদ থেকেও সরে যাওয়ার চাপ এসে ভর করেছে তার ওপর।

 

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে এ তথ্য।

 

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি। আগামীকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পিটিশনের মাধ্যমে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের মুখোমুখি হওয়ার দাবি জানানো হবে।

 

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল তছরুপ করেছেন। এছাড়া খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে লন্ডনের কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য মন্ত্রীত্ব ছাড়ার আগেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রীদের নৈতিকতা পর্যালোচনা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে লরি ম্যাগনাস জানান, টিউলিপের বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং আর্থিক অনিয়মের কোনো প্রমাণও নেই।

 

পরবর্তীতে টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লিখেন, আপনার পদত্যাগ গ্রহণ করতে গিয়ে আমি স্পষ্ট করতে চাই যে, স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং আপনার আর্থিক অনিয়মের কোনো প্রমাণও নেই। স্বাধীন উপদেষ্টার কাছে নিজেকে সমর্পণ করায় এবং সত্য উদ্ঘাটনে পুরোপুরি সহযোগিতা করার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ব্রিটেনকে পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে চলমান বিভ্রান্তি দূর করার জন্য আপনি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি আমি উপলব্ধি করি এবং আপনার জন্য ভবিষ্যতে দরজা সব সময় খোলা রয়েছে, তা স্পষ্ট করতে চাই।

 

এ নিয়ে পরে পার্লামেন্টে বিরোধীদলের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়েছে কিয়ার স্টারমারকে।

 

এদিকে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে কনজারভেটিভ পার্টি। আগামীকাল সোমবার এক পিটিশনের মাধ্যমে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের মুখোমুখি হওয়ার দাবি জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।

 

ইতোমধ্যে এ বিষয়ে টিউলিপের আসনে লিফলেট বিতরণ করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। কিছু লিফলেটে টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্যামডেনের জ্যেষ্ঠে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডেভিড ডগলাস মন্তব্য করেছেন, সবাই যেমন ধারণা করেন, টিউলিপ তেমন ভদ্র মেয়ে নন।