পাবনার চাটমোহর উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদে মাটি কাটাসহ দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। এ বিষয়ে বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটি রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ রয়েছে। বড়াল রক্ষায় তাদের কোন প্রকার কর্মসূচি নেই। বড়াল নদে বিভিন্ন অংশে এখন চলছে মাটি কাটা ও দখল। চাটমোহর পুরাতন বাজার এলাকার অদুরে বড়াল নদের বোঁথর এলাকায় জনৈক ফিরোজ কবীর মনি প্রকাশ্যে বড়াল নদের মাটি কেটে বাড়িতে মাটি তুলছেন। গত দু’দিন ধরে প্রকাশ্যে এই মাটি কাটা হলেও প্রশাসক কিংবা বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দের কোন প্রকার মাথাব্যাথা নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মাটিকাটা শ্রমিক দিয়ে অবিরাম মাটি কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে ফিরোজ কবীর মনি বললেন, ডিসি অফিসের লিখিত অনুমতি আছে আমার। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান বললেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অথচ বড়াল নদের যে প্রান্তে মাটি কাটা হচ্ছে সেই এলাতেই সদস্য সচিবের বাড়ি।
চাটমোহর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বললেন, আমি কাউকে অনুমতি দেইনি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এদিকে বড়াল নদের বিভিন্ন এলাকায় দখলের মহোৎসব চলছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদের বিভিন্ন অংশ দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে। বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির আন্দোলনে বড়ালের প্রাণ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেই আন্দোলন এখন সভা, সেমিনারে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে দু’একটি সভা করে আন্দোলনের তাদের দায়িত্ব শেষ করছেন। কার্যকর কোন পদক্ষেপ বা কর্মসূচি নেই।