ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ অর্থনীতির জন্য ‘আত্মঘাতী’: ডিসিসিআই সভাপতি

ছবি: সংগৃহীত

শতাধিক পণ্যে শুল্ক ও করহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ অর্থনীতির জন্য ‘আত্মঘাতী’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আত্মঘাতী’ এই পদক্ষেপ জনগণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কারণ, এই খরচ পুরোটাই জনগণের ঘাড়ে গিয়ে পড়বে। এর ফলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে।

 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্নভাবে আমরা দেখছি সরকার প্রাইভেট সেক্টরের ওপর শুল্ক- ভ্যাট চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, বাৎসরিক সরকারি খরচ প্রকাশ করুন। সব খরচ ব্যবসায়ীদের ওপর না চাপিয়ে সরকারি খরচ কমান। সরকারি খরচ ২০ শতাংশ কমালেই ৫০ হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। এ দিয়ে বাজেট ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়িয়ে কীভাবে মূল্যস্ফীতি কম রাখবে, এটি আমাদের বোধগম্য নয়। ’

 

তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে সরকার গ্যাসের দাম প্রায় ১৫০ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে গত তিন বছরে গ্যাসের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। ফলে প্রায় ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যাসের দাম বেড়েছে। আমাদের হাতে তো ম্যাজিক নেই যে ৪০০ শতাংশ প্রফিট করব? এখনো আমরা চাহিদার ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ গ্যাস পাচ্ছি না। এর মধ্যে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই অর্থনীতি ও রাজনীতি একই প্ল্যাটফর্মে যেন না আসে। রাজনীতি ও অর্থনৈতিকে আলাদা রাখতে হবে। রাজনীতি ও ব্যবসা আলাদা থাকুক। ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে যেতে পারেন, কিন্তু ব্যবসার মধ্যে যেন রাজনীতি না ঢুকে।’

 

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সিএসএমই খাতে ঋণপ্রাপ্তি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, এটি বাড়াতে হবে এবং এই খাতের উদ্যোক্তারা যেন সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ পায়, তা নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে।’

 

তিনি বলেন, ‘পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আশাবাদী হবেন এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।’

 

সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতির ১১টি বিষয়বস্তুর ওপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৫ সালে ডিসিসিআইর কর্মপরিকল্পনার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তাসকীন আহমেদ। এ সময় ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ অর্থনীতির জন্য ‘আত্মঘাতী’: ডিসিসিআই সভাপতি

আপলোড সময় : ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

শতাধিক পণ্যে শুল্ক ও করহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ অর্থনীতির জন্য ‘আত্মঘাতী’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আত্মঘাতী’ এই পদক্ষেপ জনগণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কারণ, এই খরচ পুরোটাই জনগণের ঘাড়ে গিয়ে পড়বে। এর ফলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে।

 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্নভাবে আমরা দেখছি সরকার প্রাইভেট সেক্টরের ওপর শুল্ক- ভ্যাট চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, বাৎসরিক সরকারি খরচ প্রকাশ করুন। সব খরচ ব্যবসায়ীদের ওপর না চাপিয়ে সরকারি খরচ কমান। সরকারি খরচ ২০ শতাংশ কমালেই ৫০ হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। এ দিয়ে বাজেট ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়িয়ে কীভাবে মূল্যস্ফীতি কম রাখবে, এটি আমাদের বোধগম্য নয়। ’

 

তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে সরকার গ্যাসের দাম প্রায় ১৫০ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে গত তিন বছরে গ্যাসের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। ফলে প্রায় ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যাসের দাম বেড়েছে। আমাদের হাতে তো ম্যাজিক নেই যে ৪০০ শতাংশ প্রফিট করব? এখনো আমরা চাহিদার ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ গ্যাস পাচ্ছি না। এর মধ্যে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই অর্থনীতি ও রাজনীতি একই প্ল্যাটফর্মে যেন না আসে। রাজনীতি ও অর্থনৈতিকে আলাদা রাখতে হবে। রাজনীতি ও ব্যবসা আলাদা থাকুক। ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে যেতে পারেন, কিন্তু ব্যবসার মধ্যে যেন রাজনীতি না ঢুকে।’

 

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সিএসএমই খাতে ঋণপ্রাপ্তি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, এটি বাড়াতে হবে এবং এই খাতের উদ্যোক্তারা যেন সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ পায়, তা নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে।’

 

তিনি বলেন, ‘পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আশাবাদী হবেন এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।’

 

সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতির ১১টি বিষয়বস্তুর ওপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৫ সালে ডিসিসিআইর কর্মপরিকল্পনার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তাসকীন আহমেদ। এ সময় ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।