ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মাচায় পটল চাষে নারী উদ্যোক্তার সাফল্য

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মাচায় পটল আবাদ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন নারী কৃষি উদ্যোক্তা রিনা আক্তার।

পটল সবজি হিসাবে যেমন পুষ্টিকর, তেমনি সুস্বাদু। অন্যান্য ফসলের চেয়ে পটলের ফলন বেশি হয়ে থাকে।

বাজারে দাম ভালো থাকায়, কৃষি উদ্যোক্তা রিনা আক্তারের মতো অনেক কৃষকই এখন মাচা তৈরি করে পটল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

চলতি মৌসুমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার নতুন পাড়া এলাকায় বেসরকারি সংস্থা আইডিএফ-এর সহযোগিতায় ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা তৈরি করে বারি পটল-১ জাতের উচ্চ ফলশীল পটল চাষ করেন স্থানীয় নারী কৃষি উদ্যোক্তা রিনা আক্তার। নিয়মিত পরিচর্যায় প্রথম বছরেই সফল হয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে রিনা আক্তার জানান, বেসরকারি সংস্থা আইডিএফ-এর সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা তৈরি করে এ বছর তিনি পটল চাষ করেছেন। ফলনও বেশ ভালো এসেছে। ইতোমধ্যেই পটল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি পটল ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরই মধ্যে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার পটল বিক্রি হয়েছে।

সামনে আরও টাকা আয়ের আশা করছেন এই চাষি। তার এই সাফল্য দেখে অনেক কৃষকই পটল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

আইডিএফ-এর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আজমারুল হক বলেন, ‘পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি খাতের অর্থায়নে ও ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ)-এর কৃষি উন্নয়ন বিভাগের বাস্তবায়নে মাটিরাঙ্গায় পরীক্ষামূলকভাবে ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা পদ্ধতিতে পটল চাষের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছিল। ফলনও খুবই ভালো এসেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা কৃষককে সার, বীজ, বালাইনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে পটলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের বিকাশ হবে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী বলেন, ‘পটল লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ, তাই বাঁশের আনুভূমিক মাচা ও রশি দিয়ে তৈরি উলম্ব মাচায় পটল চাষ লাভজনক হয়ে থাকে। পটল একটি চাহিদাসম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল সবজি। এখানকার মাটি পটল চাষের জন্য খুবই উপযোগী।

এই সবজি চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে, কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিতর্কে জর্জরিত ফরিদপুর উপজেলা বিএনপি কমিটি ৯ দিনের মাথায় বাতিল

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মাচায় পটল চাষে নারী উদ্যোক্তার সাফল্য

আপলোড সময় : ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মাচায় পটল আবাদ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন নারী কৃষি উদ্যোক্তা রিনা আক্তার।

পটল সবজি হিসাবে যেমন পুষ্টিকর, তেমনি সুস্বাদু। অন্যান্য ফসলের চেয়ে পটলের ফলন বেশি হয়ে থাকে।

বাজারে দাম ভালো থাকায়, কৃষি উদ্যোক্তা রিনা আক্তারের মতো অনেক কৃষকই এখন মাচা তৈরি করে পটল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

চলতি মৌসুমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার নতুন পাড়া এলাকায় বেসরকারি সংস্থা আইডিএফ-এর সহযোগিতায় ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা তৈরি করে বারি পটল-১ জাতের উচ্চ ফলশীল পটল চাষ করেন স্থানীয় নারী কৃষি উদ্যোক্তা রিনা আক্তার। নিয়মিত পরিচর্যায় প্রথম বছরেই সফল হয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে রিনা আক্তার জানান, বেসরকারি সংস্থা আইডিএফ-এর সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা তৈরি করে এ বছর তিনি পটল চাষ করেছেন। ফলনও বেশ ভালো এসেছে। ইতোমধ্যেই পটল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি পটল ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরই মধ্যে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার পটল বিক্রি হয়েছে।

সামনে আরও টাকা আয়ের আশা করছেন এই চাষি। তার এই সাফল্য দেখে অনেক কৃষকই পটল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

আইডিএফ-এর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আজমারুল হক বলেন, ‘পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি খাতের অর্থায়নে ও ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ)-এর কৃষি উন্নয়ন বিভাগের বাস্তবায়নে মাটিরাঙ্গায় পরীক্ষামূলকভাবে ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা পদ্ধতিতে পটল চাষের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছিল। ফলনও খুবই ভালো এসেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা কৃষককে সার, বীজ, বালাইনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে পটলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের বিকাশ হবে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী বলেন, ‘পটল লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ, তাই বাঁশের আনুভূমিক মাচা ও রশি দিয়ে তৈরি উলম্ব মাচায় পটল চাষ লাভজনক হয়ে থাকে। পটল একটি চাহিদাসম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল সবজি। এখানকার মাটি পটল চাষের জন্য খুবই উপযোগী।

এই সবজি চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে, কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি।