ঢাকা , শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

কোন সিগারেটের দাম কত বাড়ল

ফাইল ছবি

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিগারেটও।

 

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।

 

জারিকৃত ওই নির্দেশনায় সিগারেটের মূল্যস্তর ভেদে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায় করতে বলা হয়। মূলত, চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে রাজস্ব আদায় বাড়াতে ভ্যাট বসানোর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ওই অধ্যাদেশে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক উভয়ই বাড়ানো হয়েছে।

 

এরই অংশ হিসেবে নতুন শুল্ক-কর পরিশোধ করে সিগারেটের চালান বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থায় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটামুটি সব ধরনের সিগারেটের দাম প্রতি শলাকায় এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।

 

এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক, প্রতি শলাকায় কোন ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম কত বেড়েছে?

 

খুচরা পর্যায়ে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ব্র্যান্ডের প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম আগে ছিল ১৮ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। গোল্ডলিফ ব্র্যান্ডের প্রতিটি শলাকার দাম ১৩ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।

 

এ ছাড়া ২ টাকা বেড়ে প্রতি শলাকা লাকি সিগারেটের দাম ১২ টাকা এবং স্টার ব্র্যান্ডের সিগারেট ১০ টাকা হয়েছে।

 

এর বাইরে ডার্বি, পাইলট ও হলিউডের দাম এখন ৮ টাকা এবং রয়েলের দাম ৭ টাকা। অর্থাৎ এসব সিগারেটে দাম বেড়েছে ১ টাকা।

 

শুধু খুচরা নয়, পাইকারি পর্যায়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো।

 

জানা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শলাকার বেনসন অ্যান্ড হেজেসের প্যাকেটের দাম ৩৭০ টাকা, গোল্ডলিফ ২৮০ টাকা, লাকি স্ট্রাইক ২১০ টাকা, স্টার ১৭২ টাকা, পাইলট, ডার্বি স্টাইল ও হলিউড ১৪৪ টাকা ও রয়েল ১২৬ টাকা টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০ শলাকার প্যাকেটের প্রতিটি ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে।

 

এ বিষয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশের করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান সাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা মনে করি, আকস্মিক নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত ছিল, সব অংশীজনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করা।

 

এই পরিস্থিতিতে বাজারে রাজস্ব ফাঁকি, অবৈধ ও চোরাই সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই সরকারের এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে শিগগিরই সংলাপ করা উচিত।

 

প্রসঙ্গত, এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুসারে নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রযোজ্য সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যমস্তরে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। উচ্চস্তরে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অতি উচ্চস্তরের সিগারেটের দাম ১৬০ টাকা থেকে ১৮৫ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কোন সিগারেটের দাম কত বাড়ল

আপলোড সময় : ১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিগারেটও।

 

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।

 

জারিকৃত ওই নির্দেশনায় সিগারেটের মূল্যস্তর ভেদে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায় করতে বলা হয়। মূলত, চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে রাজস্ব আদায় বাড়াতে ভ্যাট বসানোর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ওই অধ্যাদেশে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক উভয়ই বাড়ানো হয়েছে।

 

এরই অংশ হিসেবে নতুন শুল্ক-কর পরিশোধ করে সিগারেটের চালান বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থায় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটামুটি সব ধরনের সিগারেটের দাম প্রতি শলাকায় এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।

 

এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক, প্রতি শলাকায় কোন ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম কত বেড়েছে?

 

খুচরা পর্যায়ে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ব্র্যান্ডের প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম আগে ছিল ১৮ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। গোল্ডলিফ ব্র্যান্ডের প্রতিটি শলাকার দাম ১৩ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।

 

এ ছাড়া ২ টাকা বেড়ে প্রতি শলাকা লাকি সিগারেটের দাম ১২ টাকা এবং স্টার ব্র্যান্ডের সিগারেট ১০ টাকা হয়েছে।

 

এর বাইরে ডার্বি, পাইলট ও হলিউডের দাম এখন ৮ টাকা এবং রয়েলের দাম ৭ টাকা। অর্থাৎ এসব সিগারেটে দাম বেড়েছে ১ টাকা।

 

শুধু খুচরা নয়, পাইকারি পর্যায়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো।

 

জানা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শলাকার বেনসন অ্যান্ড হেজেসের প্যাকেটের দাম ৩৭০ টাকা, গোল্ডলিফ ২৮০ টাকা, লাকি স্ট্রাইক ২১০ টাকা, স্টার ১৭২ টাকা, পাইলট, ডার্বি স্টাইল ও হলিউড ১৪৪ টাকা ও রয়েল ১২৬ টাকা টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০ শলাকার প্যাকেটের প্রতিটি ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে।

 

এ বিষয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশের করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান সাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা মনে করি, আকস্মিক নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত ছিল, সব অংশীজনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করা।

 

এই পরিস্থিতিতে বাজারে রাজস্ব ফাঁকি, অবৈধ ও চোরাই সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই সরকারের এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে শিগগিরই সংলাপ করা উচিত।

 

প্রসঙ্গত, এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুসারে নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রযোজ্য সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যমস্তরে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। উচ্চস্তরে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অতি উচ্চস্তরের সিগারেটের দাম ১৬০ টাকা থেকে ১৮৫ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।