
সারা দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্মীয় শ্রদ্ধা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে আগামীকাল (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন। ত্যাগ ও কোরবানির শিক্ষা নিয়ে এই দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
ইসলামের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পালিত হয়। এই দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দিয়ে স্মরণ করা হয় হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যের অমর দৃষ্টান্ত।
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। রাজধানীসহ সারাদেশে ঈদের জামাত আয়োজন, পশু কোরবানির স্থান নির্ধারণ, কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন কাজ করছে।
ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে নির্ধারিত স্থানেই পশু কোরবানির অনুরোধ জানানো হয়েছে নগর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ বিশেষ টিম গঠন করেছে।
সকাল ৭টা থেকে দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট নাগরিকরা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
ঈদকে ঘিরে পশুর হাটে কেনাবেচা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভেটেরিনারি চিকিৎসক দলও হাটগুলোতে কাজ করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে আলাদা আলাদা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা বলেন, কোরবানির এই শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে আত্মত্যাগ ও মানবিকতার চর্চা করতে উদ্বুদ্ধ করবে।