ঢাকা , শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

কানের দুলের জন্য স্কুলছাত্রী পপি হত্যা, গৃহবধূর কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্বর্ণের কানের দুল খুলে নেওয়ায় কান্না করলে মুখ-গলা চেপে স্কুলছাত্রী পপি সাহাকে (৭) হত্যার ঘটনায় রুনা আক্তার আঁখির আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তিন আনা স্বর্ণের কানের দুলের লোভে স্কুলছাত্রী পপিকে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রুনার স্বামীও এ মামলার আসামি ছিলেন। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এতে আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায়ের সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। খালাসপ্রাপ্ত এমরান গাছ কাটা শ্রমিক ছিলেন ও উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেরোয়া গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।

দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা পূর্ব কেরোয়া গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে ও এমরানের স্ত্রী।

ভিকটিম পপি সাগরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন ও বামনী ইউনিয়নের সাগরদি গ্রামের প্রবাসী নির্মল সাহার মেয়ে।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানা যায়, ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর সকালে প্রাইভেট পড়ে এসে বাড়ির পাশেই পপি খেলছিল। তখন রুনা তাকে ডেকে ঘরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তার কানের দুলগুলো খুলে নেয় রুনা। এতে পপি কান্না করে উঠে। কান্নার শব্দ যেন কেউ শুনতে না পায় এ জন্য মুখ ও গলা চেপে ধরলে পপি মারা যায়। পরে তার মরদেহ চৌকির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। বাড়ি ফিরলে রুনা তার স্বামীকে বিষয়টি জানায়। এতে পপির মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করে তারা। পরে ঘরের দুটি দরজার একটির বাইরে তালা ও অন্যটি ভেতর দিয়ে আটকে রেখা রুনা ও এমরান ঘরে অবস্থান করছিল।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কানের দুলের জন্য স্কুলছাত্রী পপি হত্যা, গৃহবধূর কারাদণ্ড

আপলোড সময় : ০৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্বর্ণের কানের দুল খুলে নেওয়ায় কান্না করলে মুখ-গলা চেপে স্কুলছাত্রী পপি সাহাকে (৭) হত্যার ঘটনায় রুনা আক্তার আঁখির আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তিন আনা স্বর্ণের কানের দুলের লোভে স্কুলছাত্রী পপিকে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রুনার স্বামীও এ মামলার আসামি ছিলেন। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এতে আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায়ের সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। খালাসপ্রাপ্ত এমরান গাছ কাটা শ্রমিক ছিলেন ও উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেরোয়া গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।

দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা পূর্ব কেরোয়া গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে ও এমরানের স্ত্রী।

ভিকটিম পপি সাগরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন ও বামনী ইউনিয়নের সাগরদি গ্রামের প্রবাসী নির্মল সাহার মেয়ে।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানা যায়, ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর সকালে প্রাইভেট পড়ে এসে বাড়ির পাশেই পপি খেলছিল। তখন রুনা তাকে ডেকে ঘরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তার কানের দুলগুলো খুলে নেয় রুনা। এতে পপি কান্না করে উঠে। কান্নার শব্দ যেন কেউ শুনতে না পায় এ জন্য মুখ ও গলা চেপে ধরলে পপি মারা যায়। পরে তার মরদেহ চৌকির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। বাড়ি ফিরলে রুনা তার স্বামীকে বিষয়টি জানায়। এতে পপির মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করে তারা। পরে ঘরের দুটি দরজার একটির বাইরে তালা ও অন্যটি ভেতর দিয়ে আটকে রেখা রুনা ও এমরান ঘরে অবস্থান করছিল।