ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

ককটেল বিস্ফোরণ,আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহবার সরদারের ঘরবাড়ি দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটকচর এলাকার জয়নাল মাদবর ও জহির ঢালীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এইর জেরে সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটকবাজার ও তার আশপাশে হামলা চালায়। আতঙ্ক ছড়াতে একাধিক ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটানো হয়। এতে আহত হয় অন্তত ৫ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র। ফের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এই ঘটনার পর আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আধিপত্য ধরে রাখতে এই দুটি গ্রুপ সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেই যাচ্ছে। এদের দৃশ্যমান কোনো বিচার না হওয়ায় তারা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যার ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহবার সরদারের ছেলে জনি সরদার বলেন, এলাকার আধিপত্য নিয়ে প্রায়ই আমাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়। আবার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা হামলাকারীরা আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গেচুরে তছনছ করে দেয়। এর কঠিন বিচার চাই।

 

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জয়নাল মাদবর ও জহির ঢালী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ও মামলা হয়। কিন্তু এরা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ককটেল বিস্ফোরণ,আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

আপলোড সময় : ০৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহবার সরদারের ঘরবাড়ি দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটকচর এলাকার জয়নাল মাদবর ও জহির ঢালীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এইর জেরে সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটকবাজার ও তার আশপাশে হামলা চালায়। আতঙ্ক ছড়াতে একাধিক ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটানো হয়। এতে আহত হয় অন্তত ৫ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র। ফের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এই ঘটনার পর আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আধিপত্য ধরে রাখতে এই দুটি গ্রুপ সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেই যাচ্ছে। এদের দৃশ্যমান কোনো বিচার না হওয়ায় তারা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যার ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহবার সরদারের ছেলে জনি সরদার বলেন, এলাকার আধিপত্য নিয়ে প্রায়ই আমাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়। আবার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা হামলাকারীরা আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গেচুরে তছনছ করে দেয়। এর কঠিন বিচার চাই।

 

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জয়নাল মাদবর ও জহির ঢালী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ও মামলা হয়। কিন্তু এরা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।