ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

ঈশ্বরদীতে আগুনে পুড়ে গৃহবধূ নিহত,১৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই ও ১৪টি ছাগলের মৃত্যু

ঈশ্বরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ছয়টি পরিবারের ১৩টি বসতঘর ও ১৪টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়েছে। এসময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর প্রাণহানি ঘটেছে। নিহত গৃহবধূ হলেন জিয়ারুল কাজীর স্ত্রী আগেলা বেগম (৪০)। উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আসনা গ্রামে বুধবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ১ ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গ্রামের রহমান কাজীর রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন দ্রুত আশেপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জিয়ারুল কাজী, রহমান কাজী, মকবুল কাজী, মাহাবুল কাজী ও জাহেদা বেগমের ১৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জিয়ারুল কাজী জানান, ঘরে শিশু সন্তান রয়েছে ভেবে তার স্ত্রী তাকে বাঁচাতে ঘরে ঢুকলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এলাকাবাসীরা জানান, রহমান কাজীর রান্না ঘর থেকে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনে বসতঘর ও ছাগল ছাড়াও নগদ টাকা-পয়সা, টিভি, ফ্রিজসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এই মূহুর্তে নির্ধারণ করা না গেলেও ৩০ লাখ টাকা ওপরে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মীর আমিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে ১৩টি বসতঘর ছাড়াও ১৪টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবির কুমার দাস জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহত গৃহবধূর দাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল-গম ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে পরবর্তীতে সহযোগীতার ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ঈশ্বরদীতে আগুনে পুড়ে গৃহবধূ নিহত,১৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই ও ১৪টি ছাগলের মৃত্যু

আপলোড সময় : ০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

ঈশ্বরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ছয়টি পরিবারের ১৩টি বসতঘর ও ১৪টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়েছে। এসময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর প্রাণহানি ঘটেছে। নিহত গৃহবধূ হলেন জিয়ারুল কাজীর স্ত্রী আগেলা বেগম (৪০)। উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আসনা গ্রামে বুধবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ১ ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গ্রামের রহমান কাজীর রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন দ্রুত আশেপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জিয়ারুল কাজী, রহমান কাজী, মকবুল কাজী, মাহাবুল কাজী ও জাহেদা বেগমের ১৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জিয়ারুল কাজী জানান, ঘরে শিশু সন্তান রয়েছে ভেবে তার স্ত্রী তাকে বাঁচাতে ঘরে ঢুকলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এলাকাবাসীরা জানান, রহমান কাজীর রান্না ঘর থেকে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনে বসতঘর ও ছাগল ছাড়াও নগদ টাকা-পয়সা, টিভি, ফ্রিজসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এই মূহুর্তে নির্ধারণ করা না গেলেও ৩০ লাখ টাকা ওপরে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মীর আমিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে ১৩টি বসতঘর ছাড়াও ১৪টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবির কুমার দাস জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহত গৃহবধূর দাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল-গম ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে পরবর্তীতে সহযোগীতার ব্যবস্থা করা হবে।