ঢাকা , বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিসহ রাশিয়ার বিমানে থাকা ৭৪ যাত্রী নিহত

ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধবন্দি বহনকারী রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান বেলগোরোদ অঞ্চলে বিধ্বস্তের ঘটনায় এর ভেতরে থাকা সব আরোহী নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে আরোহী হিসেবে ৬৫ জন ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দি, ছয়জন ক্রু এবং তিনজন এসকর্টসহ মোট ৭৪ জন যাত্রী ছিলেন।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) অঞ্চলটির গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ।

 

তিনি জানান, কোরোচানস্কি জেলায় একটি পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এটি একটি জনবহুল এলাকার কাছে মাঠের মধ্যে পড়েছিল। এতে বিমানে থাকা সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

 

এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি আইএল-৭৬ বিমান পশ্চিম বেলগোরোদ অঞ্চলে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে আরোহী হিসেবে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দির সঙ্গে ছয়জন ক্রু এবং তিনজন এসকর্ট ছিলেন। ইউক্রেনের সঙ্গে বিনিময়ের লক্ষ্যে এসব যুদ্ধবন্দিকে সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রাশিয়ার মিলিটারি স্পেস ফোর্সের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

বেলগোরোদের কাছাকাছি ব্লিঝনো গ্রামে বুধবার একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে সতর্কতা জারি করেন ওই অঞ্চলের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ। পরে তিনি কোরোচানস্কি জেলায় গুরুতর জরুরি অবস্থার কথাও জানান। তবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত কোনোকিছু জানানো হয়নি।

 

রাশিয়ার ডুমা প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান আন্দ্রেই কার্তাপোলভ চেম্বারের একটি সভায় বলেন, আসন্ন যুদ্ধবন্দি বিনিময় সম্পর্কে জানত ইউক্রেন। তারপরও বিমানটিতে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। মার্কিন প্যাট্রিয়ট কমপ্লেক্স অথবা জার্মান আইআরআইএস টি থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে ধারণা করছেন তিনি। এই ঘটনার পরে যুদ্ধবন্দি বহনকারী দ্বিতীয় বিমানটি ফিরে যেতে সক্ষম হয়।

 

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল রাশিয়ার বেলগোরোদ। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী অঞ্চলটিতে প্রায়ই গুলিবর্ষণ করে থাকে। এর ফলে সেখানে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ উচ্চ ঝুঁকির আশঙ্কা করে থাকে রাশিয়া।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গুগল পে চালুর মধ্য দিয়ে অর্থ লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিসহ রাশিয়ার বিমানে থাকা ৭৪ যাত্রী নিহত

আপলোড সময় : ১০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধবন্দি বহনকারী রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান বেলগোরোদ অঞ্চলে বিধ্বস্তের ঘটনায় এর ভেতরে থাকা সব আরোহী নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে আরোহী হিসেবে ৬৫ জন ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দি, ছয়জন ক্রু এবং তিনজন এসকর্টসহ মোট ৭৪ জন যাত্রী ছিলেন।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) অঞ্চলটির গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ।

 

তিনি জানান, কোরোচানস্কি জেলায় একটি পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এটি একটি জনবহুল এলাকার কাছে মাঠের মধ্যে পড়েছিল। এতে বিমানে থাকা সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

 

এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি আইএল-৭৬ বিমান পশ্চিম বেলগোরোদ অঞ্চলে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে আরোহী হিসেবে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দির সঙ্গে ছয়জন ক্রু এবং তিনজন এসকর্ট ছিলেন। ইউক্রেনের সঙ্গে বিনিময়ের লক্ষ্যে এসব যুদ্ধবন্দিকে সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রাশিয়ার মিলিটারি স্পেস ফোর্সের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

বেলগোরোদের কাছাকাছি ব্লিঝনো গ্রামে বুধবার একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে সতর্কতা জারি করেন ওই অঞ্চলের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ। পরে তিনি কোরোচানস্কি জেলায় গুরুতর জরুরি অবস্থার কথাও জানান। তবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত কোনোকিছু জানানো হয়নি।

 

রাশিয়ার ডুমা প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান আন্দ্রেই কার্তাপোলভ চেম্বারের একটি সভায় বলেন, আসন্ন যুদ্ধবন্দি বিনিময় সম্পর্কে জানত ইউক্রেন। তারপরও বিমানটিতে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। মার্কিন প্যাট্রিয়ট কমপ্লেক্স অথবা জার্মান আইআরআইএস টি থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে ধারণা করছেন তিনি। এই ঘটনার পরে যুদ্ধবন্দি বহনকারী দ্বিতীয় বিমানটি ফিরে যেতে সক্ষম হয়।

 

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল রাশিয়ার বেলগোরোদ। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী অঞ্চলটিতে প্রায়ই গুলিবর্ষণ করে থাকে। এর ফলে সেখানে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ উচ্চ ঝুঁকির আশঙ্কা করে থাকে রাশিয়া।