ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে যা বললেন নুর

ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ফ্যাসিবাদ নির্মূল ও গণহত্যাকারীদের বিচারসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ সারা দেশে আন্দোলনের পাশাপাশি রাজপথে সোচ্চার থাকবে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ কোনো আপস করবে না। যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা অবস্থান নেব।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে।

স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, ছয় মাস পার হলেও স্থানীয় সরকার নিয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পারেনি।

এ সময় প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার ছাড়া একটা সরকার শক্তিশালী হবে কীভাবে?

 

ডাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতার কিছু নেই। নিবাচন নিয়ে যত আওয়াজ দেখি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে তত আওয়াজ দেখি না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করতে হবে। তার আগে নির্বাচন করা যাবে না। সংস্কার করতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।

বিপ্লবের পর নানা সুবিধাভোগী বিপ্লবী তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, কেউ কোর্টে ব্যবসা করছে। কেউ থানায় ব্যবসা করছে, কেউ ইউএনও অফিসে ব্যবসা করছে। বিপ্লবের নামে এই নব্য ব্যবসায়ীদের রুখে দিতে হবে।

একই বিক্ষোভ ও গণমিছিলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানও।

 

তিনি বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাও করা হবে।

রাশেদ খান বলেন, ছয় মাস হয়ে গেল এখনও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

 

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছেন, যুবলীগ-আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে পারবে না।

এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উপদেষ্টা পরিষদ নিয়েও সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাইলে আগে উপদেষ্টা পরিষদকে সংস্কার করতে হবে। এই পুলিশ-র‍্যাবকে দিয়ে সংস্কার করা যাবে না। প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আগে প্রশাসনের মধ্যে সংস্কার করতে হবে।

 

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে যা বললেন নুর

আপলোড সময় : ১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ফ্যাসিবাদ নির্মূল ও গণহত্যাকারীদের বিচারসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ সারা দেশে আন্দোলনের পাশাপাশি রাজপথে সোচ্চার থাকবে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ কোনো আপস করবে না। যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা অবস্থান নেব।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে।

স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, ছয় মাস পার হলেও স্থানীয় সরকার নিয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পারেনি।

এ সময় প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার ছাড়া একটা সরকার শক্তিশালী হবে কীভাবে?

 

ডাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতার কিছু নেই। নিবাচন নিয়ে যত আওয়াজ দেখি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে তত আওয়াজ দেখি না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করতে হবে। তার আগে নির্বাচন করা যাবে না। সংস্কার করতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।

বিপ্লবের পর নানা সুবিধাভোগী বিপ্লবী তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, কেউ কোর্টে ব্যবসা করছে। কেউ থানায় ব্যবসা করছে, কেউ ইউএনও অফিসে ব্যবসা করছে। বিপ্লবের নামে এই নব্য ব্যবসায়ীদের রুখে দিতে হবে।

একই বিক্ষোভ ও গণমিছিলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানও।

 

তিনি বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাও করা হবে।

রাশেদ খান বলেন, ছয় মাস হয়ে গেল এখনও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

 

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছেন, যুবলীগ-আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে পারবে না।

এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উপদেষ্টা পরিষদ নিয়েও সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাইলে আগে উপদেষ্টা পরিষদকে সংস্কার করতে হবে। এই পুলিশ-র‍্যাবকে দিয়ে সংস্কার করা যাবে না। প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আগে প্রশাসনের মধ্যে সংস্কার করতে হবে।