ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

আজ গৌরবের একুশ

একুশের চেতনা আমাদের আত্মমর্যাদাশীল করেছে। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,যাবতীয় গোঁড়ামি আর সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে শুভবোধের অঙ্গীকার।
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি আজ। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস,একইসাথে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি পূরনের ৭২ বছর পূর্ণ হচ্ছে এই দিনে। বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় এই দিনটি শুধু বাংলাদেশে নয়,সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতির জীবনে শোকাবহ,গৌরবোজ্জ্বল,অহঙ্কারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর দিন আজ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে সেদিন বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সালাম,রফিক,জব্বার,বরকত, সফিউররা। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম নজির এটি। সেদিন তাঁদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা,মায়ের ভাষা। আর এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহর থেকেই জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে ভাষা শহীদদের স্মরণ করছে। হৃদয়ের সবটুকু আবেগ ঢেলে দিয়ে সকলের কণ্ঠে বাজছে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী রচিত একুশের অমর শোকসঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি…।’ এই শোকসঙ্গীতটি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে। আজ সারাদেশের সবকটি শহীদ মিনার ফুলে ফুলে ভরে উঠবে।
মাতৃভাষার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে বাঙালি জাতি যে ইতিহাস রচনা করেছিল, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব তাকে বরণ করেছে সুগভীর শ্রদ্ধায়। ২১শে ফেব্রুয়ারি আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। তাই আজ শুধু শোক নয়, শোককে শক্তিতে পরিণত করার দিন।
অমর একুশে,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সারাদেশের ন্যায় পাবনার চাটমোহরেও নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি,বেসরকারি পর্যায়ে এ সকল কর্মসূচী পালিত হবে। দিবসের প্রথম প্রহরে শুরুতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেদুয়ানুল হালিমের নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠণ.থানা পুলিশ,পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১,প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠণ পুস্ফস্তবক অর্পণ করে। সরকারি-বেসরকারি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ ও দলীয় পতাকা এবং কালো পতাকা উত্তোলন,কালো ব্যাজ ধারণ,দোয়া মাহফিল,আলোচনা সভা।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ গৌরবের একুশ

আপলোড সময় : ১২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

একুশের চেতনা আমাদের আত্মমর্যাদাশীল করেছে। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,যাবতীয় গোঁড়ামি আর সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে শুভবোধের অঙ্গীকার।
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি আজ। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস,একইসাথে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি পূরনের ৭২ বছর পূর্ণ হচ্ছে এই দিনে। বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় এই দিনটি শুধু বাংলাদেশে নয়,সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতির জীবনে শোকাবহ,গৌরবোজ্জ্বল,অহঙ্কারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর দিন আজ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে সেদিন বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সালাম,রফিক,জব্বার,বরকত, সফিউররা। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম নজির এটি। সেদিন তাঁদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা,মায়ের ভাষা। আর এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহর থেকেই জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে ভাষা শহীদদের স্মরণ করছে। হৃদয়ের সবটুকু আবেগ ঢেলে দিয়ে সকলের কণ্ঠে বাজছে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী রচিত একুশের অমর শোকসঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি…।’ এই শোকসঙ্গীতটি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে। আজ সারাদেশের সবকটি শহীদ মিনার ফুলে ফুলে ভরে উঠবে।
মাতৃভাষার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে বাঙালি জাতি যে ইতিহাস রচনা করেছিল, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব তাকে বরণ করেছে সুগভীর শ্রদ্ধায়। ২১শে ফেব্রুয়ারি আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। তাই আজ শুধু শোক নয়, শোককে শক্তিতে পরিণত করার দিন।
অমর একুশে,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সারাদেশের ন্যায় পাবনার চাটমোহরেও নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি,বেসরকারি পর্যায়ে এ সকল কর্মসূচী পালিত হবে। দিবসের প্রথম প্রহরে শুরুতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেদুয়ানুল হালিমের নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠণ.থানা পুলিশ,পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১,প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠণ পুস্ফস্তবক অর্পণ করে। সরকারি-বেসরকারি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ ও দলীয় পতাকা এবং কালো পতাকা উত্তোলন,কালো ব্যাজ ধারণ,দোয়া মাহফিল,আলোচনা সভা।