সম্প্রতি মাগুরায় যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তা সমগ্র দেশকে হতবাক ও ক্ষুব্ধ করেছে। নিরীহ কিশোরী আছিয়ার মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি সমাজের ক্রমবর্ধমান অপরাধপ্রবণতার প্রতিচিত্র। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনায় আমরা শোকাহত, একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ এবং বিচারের দাবিতে সোচ্চার।
এই ধরনের অপরাধ আমাদের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে স্পষ্ট করে। একের পর এক এমন অপরাধ সংগঠিত হলেও অনেক সময় দোষীরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়, বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয় কিংবা উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয় না। ফলে অপরাধীরা আরও সাহসী হয়ে ওঠে এবং সমাজে ভয়াবহ বার্তা প্রেরিত হয়।
আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বিচার বিভাগের কাছে জোরালোভাবে দাবি জানাই যে, আছিয়ার ধর্ষক ও হত্যাকারীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এক্ষেত্রে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা যেন অপরাধীদের পক্ষে কাজ না করে, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
এছাড়া, এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা, নারীর প্রতি সম্মানবোধ এবং অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি, আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করার দুঃসাহস না দেখায়।
আছিয়ার পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। তাদের যেন দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, সেটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই জঘন্য অপরাধের কঠোর শাস্তি না হলে আমাদের সমাজে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা ক্ষুণ্ণ হবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা প্রত্যাশা করি, আছিয়া হত্যার বিচার হবে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক, যাতে এ ধরনের পাশবিকতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।