ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাইল জামায়াত

প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাইলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ।

মঙ্গলবার (০৩ জুন) রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে সময় বেঁধে দিয়েছেন তা হলো ডিসেম্বর টু জুন। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে জুন ২৬ এর মধ্যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা ) নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে। আমরা আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যে পরিষ্কার করেছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে। রোজার আগে আগে। কোনো কারণে যদি এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দেরি হয়; সে অবস্থায় এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে। কারণ মে মাস থেকে আমাদের দেশের আবহাওয়া ক্রমাগত খারাপের দিকে যেতে থাকে। এটা নির্বাচনের জন্য কোনো উপযুক্ত সময় হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি; তবে সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো অধিকার রাখি না। আমরা নির্দিষ্ট করে যদি বলেই দেই তবে সেটা সিদ্ধান্ত পর্যায়ে চলে যায়। সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আমরা আমাদের মতামত জানাতে পারি, দাবি জানাতে পারি।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এখনই আশা-নিরাশার কথা বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) পারফরম্যান্স আরও দেখতে চাই।

দলের নিবন্ধন বাতিলের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তাদের নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা আমরা করিনি। তবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তা করব।

ফ্যাসিজম নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, জীবন বাজি রেখে যারা দেশ পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিজমকে বিদায় করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, ফ্যাসিজম রয়ে গেছে। এর কালো ছায়া এখনো জাতির কাঁধে রয়ে গেছে।

এ সময় দলের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাইল জামায়াত

আপলোড সময় : ০৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাইলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ।

মঙ্গলবার (০৩ জুন) রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে সময় বেঁধে দিয়েছেন তা হলো ডিসেম্বর টু জুন। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে জুন ২৬ এর মধ্যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা ) নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে। আমরা আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যে পরিষ্কার করেছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে। রোজার আগে আগে। কোনো কারণে যদি এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দেরি হয়; সে অবস্থায় এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে। কারণ মে মাস থেকে আমাদের দেশের আবহাওয়া ক্রমাগত খারাপের দিকে যেতে থাকে। এটা নির্বাচনের জন্য কোনো উপযুক্ত সময় হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি; তবে সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো অধিকার রাখি না। আমরা নির্দিষ্ট করে যদি বলেই দেই তবে সেটা সিদ্ধান্ত পর্যায়ে চলে যায়। সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আমরা আমাদের মতামত জানাতে পারি, দাবি জানাতে পারি।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এখনই আশা-নিরাশার কথা বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) পারফরম্যান্স আরও দেখতে চাই।

দলের নিবন্ধন বাতিলের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তাদের নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা আমরা করিনি। তবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তা করব।

ফ্যাসিজম নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, জীবন বাজি রেখে যারা দেশ পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিজমকে বিদায় করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, ফ্যাসিজম রয়ে গেছে। এর কালো ছায়া এখনো জাতির কাঁধে রয়ে গেছে।

এ সময় দলের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।