ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

মাঠের মধ্যে পড়ে আছে ৪৭ লাখ টাকার সেতু

দিনাজপুরের খানসামায় কালামাটিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি আট বছর ধরে সংযোগ সড়কহীন অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে আশপাশের ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কাঠ ও বাঁশের তৈরি অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ মে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭১৮ টাকা ব্যয়ে আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের বাসুলী গ্রামে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নির্মাণের তিন বছরের মধ্যেই ২০১৭ সালের বন্যায় সেতুটির একটি পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ আট বছরেও সেই সড়ক পুনর্গঠন করা হয়নি।

বর্তমানে সেতুর একটি পাশ ব্যবহারযোগ্য থাকলেও অপর পাশে প্রায় ৫০-৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক নেই। ফলে সাধারণ মানুষ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, সেতু আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাঁটতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।

গ্রামবাসী মহির উদ্দিন বলেন, দশ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এটি। রাস্তা না থাকায় পুরো সেতুটাই অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

ভ্যানচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সেতু দিয়ে ভ্যান নেওয়া যায় না। রোগী বা মালপত্র থাকলে মাঝপথে থেমে যেতে হয়। এরপর নামিয়ে পায়ে হেঁটে পার করাতে হয়। এই কষ্ট প্রতিদিন করি, কিন্তু কেউ দেখে না। বর্ষা আসলে সাঁকোতেও চলা যায় না।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সেতুটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এরপরেও কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি।

এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, টেন্ডারের কাজ চলমান। টেন্ডার হলেই কাজ শুরু হবে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

মাঠের মধ্যে পড়ে আছে ৪৭ লাখ টাকার সেতু

আপলোড সময় : ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

দিনাজপুরের খানসামায় কালামাটিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি আট বছর ধরে সংযোগ সড়কহীন অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে আশপাশের ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কাঠ ও বাঁশের তৈরি অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ মে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭১৮ টাকা ব্যয়ে আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের বাসুলী গ্রামে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নির্মাণের তিন বছরের মধ্যেই ২০১৭ সালের বন্যায় সেতুটির একটি পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ আট বছরেও সেই সড়ক পুনর্গঠন করা হয়নি।

বর্তমানে সেতুর একটি পাশ ব্যবহারযোগ্য থাকলেও অপর পাশে প্রায় ৫০-৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক নেই। ফলে সাধারণ মানুষ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, সেতু আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাঁটতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।

গ্রামবাসী মহির উদ্দিন বলেন, দশ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এটি। রাস্তা না থাকায় পুরো সেতুটাই অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

ভ্যানচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সেতু দিয়ে ভ্যান নেওয়া যায় না। রোগী বা মালপত্র থাকলে মাঝপথে থেমে যেতে হয়। এরপর নামিয়ে পায়ে হেঁটে পার করাতে হয়। এই কষ্ট প্রতিদিন করি, কিন্তু কেউ দেখে না। বর্ষা আসলে সাঁকোতেও চলা যায় না।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সেতুটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এরপরেও কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি।

এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, টেন্ডারের কাজ চলমান। টেন্ডার হলেই কাজ শুরু হবে।