চলতি বছরের বিশ্বের ১০০ জন অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তাদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন সঙ্গীত তারকা বিলি আইলিশ, ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা, অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস ও সেলমা ব্লেয়ার, রাশিয়ান পপ সংগীতশিল্পী আল্লা পুগাচেভা, ইরানি পর্বতারোহী এলনাজ রেকাবি, অ্যাথলেট ইউলিমার রোজাস ও ঘানার লেখিকা নানা ডার্কোয়া সেকিয়ামাহ। আর সম্মানজনক এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশি ছাত্রী সানজিদা ইসলাম ছোঁয়া।
বিবিসি জানায়, ১০০ জন প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর এ তালিকা দশমবারের মতো প্রকাশ করা হয়েছে। তাই আমরা গত এক দশকে কী অগ্রগতি হয়েছে তা খুঁজে দেখার সুযোগ পাচ্ছি।
যদিও নারী নেত্রীদের সংখ্যা থেকে শুরু করে মি-টু আন্দোলন পর্যন্ত নারী অধিকারের ক্ষেত্রে অনেক বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবুও বিশ্বের বহু প্রান্তে নারীদের এখনও অনেক দীর্ঘ পথ পারি দিতে হবে৷
তালিকায় ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে সংঘাতের কেন্দ্রস্থলে থাকা নারীদের ভূমিকাও মূল্যায়ন করা হয়েছে। এরমধ্যে স্থান পেয়েছে ইরানে সাহসিকতার সঙ্গে পরিবর্তনের দাবিতে প্রতিবাদকারী থেকে শুরু করে ইউক্রেন-রাশিয়ায় সংঘাত ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা নারীরাও।
বিবিসি আরও জানায়, এ বছর প্রথমবারের মতো আমরা আগের ১০০ জন নারীকে ২০২২ সালের তালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্যদের মনোনীত করতে বলা হয়েছিল।
বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ২০২২ সালের ১০০ জন নারীর তালিকায় বাংলাদেশি ছাত্রী সানজিদা ইসলাম ছোঁয়াকে রেখেছে বিবিসি।
বিবিসি বলছে, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার বিশ্বে অন্যতম, কিন্তু সানজিদা তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। তার নিজের মা অল্প বয়সে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু স্কুলে বাল্যবিবাহের প্রভাব সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি এর বিরুদ্ধে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।
সে এবং তার বন্ধুরা, শিক্ষক এবং সহযোগীরা নিজেদেরকে ‘ঘাসফড়িং’ বলে পরিচয় দেন এবং তারা বাল্যবিবাহের ঘটনা পুলিশকে অবগত করে।
এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন ছোঁয়া, কিন্তু ঘাসফড়িংয়ের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ হয়নি তার। তিনি এখন গ্রুপের নতুন সদস্যদের পরামর্শ দেন। এ পর্যন্ত তারা ৫০টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করেছে বলে জানা গেছে।