পান্তা ভাত অনেকের কাছেই প্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে গরমের মৌসুমে পান্তা ভাত খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। গ্রামবাংলায় এটি নিত্যদিনের খাবার। সকালে পেট ভরে পান্তা ভাত খেয়ে চড়া রোদে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে যান। তবে বর্তমানের উত্তাপ্ত তাপপ্রবাহ থেকে কিছুটা শান্তি পেতে অনেকেই পান্তা ভাতেই ভরসা খুঁজে নিয়েছেন। হরেক রকমের ভর্তা, মাছ ভাজাসহ গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে আপনিও পান্তা ভাত খেতে পারেন প্রতিদিন। সঙ্গে রাখতে পারেন মজাদার কয়েক পদের ভর্তা। পান্তার সঙ্গে ‘মজার’ ২টি ভর্তার রেসিপি জেনে নিন।
রইল রেসিপি-
রসুনের ভর্তা: পান্তা ভাতের সঙ্গে রসুন ভর্তা ঝাঁঝালো স্বাদ দেয়। মজাদার এই ভর্তাটি বানাতে কড়াইয়ে অল্প সরিষার তেল দিয়ে ১০০ গ্রাম রসুনের কোয়া ভালো করে ভেজে নিন। রসুন নরম হলে নামিয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে আরও একটু তেল দিন। ২-৩টি শুকনো মরিচ ভেজে তুলে রাখুন। সেই তেলেই কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে নিন। এবার একটি বাটিতে লবণ আর শুকনো মরিচ ভালো করে মাখিয়ে নিন। এর সঙ্গে ভাজা পেঁয়াজ, রসুন আর সরিষার তেল দিয়ে মাখুন। একটু লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে আরও একটু মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল রসুন ভর্তা।
ডাল-চিংড়ি ভর্তা: চিংড়ি মাছ সবারই পছন্দ। পান্তার সঙ্গে চিংড়ির মাছের পদ রান্না করে খেতে ভালোই লাগে। তবে আরও জমে উঠবে চিংড়ি সঙ্গে ডাল দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খেলে। মুসুর ডাল ধুয়ে সামান্য হলুদ ও কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল দিয়ে সেদ্ধ করে নেবেন। সেদ্ধর পর ডাল আধভাঙ্গা অবস্থায় থাকবে। এবার চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। লবণ ও মরিচ মাখিয়ে কড়াইয়ের তেলে চিংড়ি মাছগুলো ভেজে নিন। লাল হয়ে গেলে তুলে নিন। এই ভাজা মাছের সঙ্গে শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ কুচি আর রসুনের কোয়া ভাজা মিশিয়ে বেটে নিন। এবার ডাল-চিংড়ি মাছের এই মিশ্রণটি শুকনো কড়াইয়ে অল্প তেলে একটু নাড়াচাড়া করে এর সঙ্গে কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি আর লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে যাবে ডাল-চিংড়ির মজাদার ভর্তা। পান্তার সঙ্গে পরিবেশন করুন।