নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ‘লাপাতা লেডিস’ এখন বহুল আলোচনায়। গত ১ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্ত পাওয়া সিনেমাটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এসেছে ২৬ এপ্রিল। বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্যের পর এবার নেটফ্লিক্সেও সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি। আর দর্শকমহলে চর্চার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে এটি।
ট্রেনে পরিবার থেকে দুই কনের আলাদা হওয়ার গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয়েছে ‘লাপাতা লেডিস’। আর স্ত্রীদের খুঁজে পাওয়ার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হন দুই কনের স্বামী। এ ঘটনায় প্রথমেই অনেকটা ক্লুলেস হয়ে পড়ে পুলিশ। কারণ, এক কনের ছবিই নেই, আবার দ্বিতীয় কনের ছবি থাকলেও মাথায় লম্বা ঘোমটা। তবে এরপরও দুই কনের খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
এদিকে একদমই ভিন্ন এক ধারায় নিজেদের আবিষ্কার করেন গ্রামে বেড়ে ওঠা দুই কনে। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে কিরণ রাওয়ের পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘লাপাতা লেডিস’র এর গল্প। বলিউড তারকা আমির খানের সাবেক স্ত্রীর পরিচালনায় নির্মিত সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে নায়কের প্রোডাকশন হাউজ এবং কিন্ডলিং প্রোডাকশন।
‘লাপাতা লেডিস’-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নীতাংশি গোয়েল, প্রতিভা রত্না, স্পর্শ শ্রীবাস্তব ও রবি কিষাণ। সিনেমাটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তির পর তালিকায় এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিটি চরিত্রই তাদের সেরাটা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এরপরও সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন মিষ্টি মেয়ে ফুল। মূলত তার ‘লাপাতা’, অর্থাৎ নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করেই সিনেমার গল্প শুরু।
কিন্তু কে এই ফুল, কী তার পরিচয়, কী করেন তিনি, কীভাবে বলিউডে অভিষেক হলো তার―এ প্রশ্ন অনেকের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিনেমায় ফুলের বয়স মাত্র ১৮ বছর দেখানো হয়েছে। তবে বাস্তবে তিনি এত বড় নন, এখনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তার প্রকৃত নাম নিতাংশি গোয়েল। ২০০৭ সালে জন্ম। আর বর্তমান বয়স ১৬ বছর।
পর্দার এই ফুল সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার ১০ দশমিক ২ মিলিয়ন। দিল্লিরৈ নয়ডায় জন্ম। মহামারি করোনাভাইরাসের লকডাউনের সময় কনটেন্ট তৈরি শুরু করেন। সেখান থেকেই নেটওয়ার্ল্ডে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা বাড়ে তার। তবে ‘লাপাতা লেডিস’-এ কাজের সুযোগ পাওয়া একদমই সহজ ছিল না। এ জন্য নিয়ম মেনে অডিশন দিতে হয়েছে তাকে।
এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর অডিশনে খুব ভালো পারফর্ম করেন। তিনি এতটাই ভালো পারফর্ম করেন যে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচিত হন। এরপর আমির খান ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বসে লাঞ্চের সুযোগ পান। আর কিরণ পেয়ে যান তার ফুলকে।